পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র, ১৩১৭। . মৃত্যু-মিলন। ܗܶܘܶ ܓ݁ܶ রাজা যখন প্রাসাদে প্রবেশ করিলেন, তখন দ্বারে প্রহরী ব্যতীত আর সকলেই নিদ্রিত বলিয়া বোধ হইল। কিন্তু অন্তঃপুরে একজন রমণী তখনও জাগিয়া ছিলেন,—তাহার বেপমান হৃদয় নানা চিন্তায় ব্যাকুল হইতেছিল। তাহার চিন্তার অন্ত নাই । রাণী তখনও বসিয়া ভাবিতেছিলেন । রাজার পদশব্দে তিনি চাহিয়া দেখিলেন। রাজা তঁহাকে লক্ষ্য করিতে পারিলেন না। কক্ষসন্মুখবন্ত্রী অলিন্দে পুষ্পিত তরুলতার অন্তরালে সেই বিষাদময়ী মূর্ত্তি তাহার দৃষ্টি অতিক্রম করিল-কারণ, কক্ষ আলোকোজ্জ্বল, অলিন্দ মৃদু আলোকে আলোকিত । রাজা শ্রান্তভাবে শয্যায় শয়ন করিয়া গাঢ় নিদ্রায় অভিভূত হইলেন। রাণী দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করিলেন। সেদিন ও রাজা পূর্বদিনের মত মধ্যাহের পর নগর-পরিদর্শনে বাহির হইলেন । ব্যাধি নগর মধ্যে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িতেছিল। রাজাকে নানা দিকেDBDD DBBBD DBBBD DBBSS SDBDBB BD LD DDDDD SS SDBDB DBB LDBD হইয়া পড়িল - বিরক্ত হইতে লাগিল, কেবল মুখ ফুটিয়া বিরক্তিপ্রকাশ করিতে পারিল না। নগরের লোক বিস্ময়ে ও শ্রদ্ধায় মূক হইয়া রহিল। রাজা পল্লীর পর পল্লীতে গমন করিয়া বাধিবিষদুষ্ট গৃহে গৃহে যাইতে লাগিলেন। সন্ধ্যার পর যখন তিনি প্রাসাদমুখগামী হইতেছেন। তখন সংবাদ আসিল, মন্দিরের নিকটে-পুরোহিতপল্লীতে একটি শবের সৎকার হইতেছে না। কারণ জিজ্ঞাসা করিয়া রাজা জানিলেন, সে গৃহে একটি বালিকা ও তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা বাস করিত । বালক প্রত্যুষে ব্যাধিগ্রস্ত হইয়া মধ্যাহোঁই প্রাণত্যাগ করিয়াছে। তাহার ভগিনী সেই শব্ব জড়াইয়া কঁাদিতেছে। আত্মীয়স্বজনগণ বহু চেষ্টায় তাহাকে সরাইতে সমর্থ হয় নাই-বুঝাইয়া শান্ত করিতে পারে নাই। সে কিছুতেই ভ্রাতার শবদেহ ত্যাগ করিতেছে না। শুনিয়া রাজার নয়ন আৰ্দ্ধ হইয়া আসিল । রাজা জিজ্ঞাসা করিলেন, “বালিকার আর কেহ নাই ?” ংবাদদাতা বলিল, “তাহার পিতা তীর্থভ্রমণে গিয়াছেন। তীর্থযাত্রার পূর্ব্বেও তিনি একরূপ সংসারত্যাগী ছিলেন।” মন্ত্রী জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কাহার কথা বলিতেছ?” “মন্দিরের বৃদ্ধ পুরোহিতের ” রাজা বিস্মিত নয়নে মন্ত্রীর দিকে চাহিলেন। মন্ত্রী পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, “বালিকা কি পাৰ্বতী ?” আগন্তুক বলিল “ই ।”