পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डia, २००१। आंखौब्र। Šoზ আজমীর এদেশে ইংরাজের আগমনকালে ইংরাজের অন্যতম সহায় কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি । বলিয়াছিলেন - কাঞ্চীপুর বদ্ধমান ছ’মাসের পথ । छन लिप्न टखद्रिल अर्थ भटनांद्रथ। ইংরাজের আগমনের শতবর্ষমধ্যে ভারতে যে বাষ্পীয়রথের আবির্ভাব হইয়াছে : তাহাতে “ছ’মাসের পথ” ছয় দিনে অতিক্রম করা একান্তই সহজসাধ্য হইয়াছে। ভারতে এই রেলপথ-বিস্তার ইংরাজের বিরাট কীর্ত্তি। ইহার কৃপায় পঙ্গু ও অনায়াসে পৰ্বতলজঘন করিতে পারে। দেশদর্শনের এমন সুযোগ পরিত্যাগ করাই দুঃসাধ্য। আমি রাজপুতানা-দর্শনে ইচ্ছক হইয়া যাত্রা করিলাম । রাজপুতানায় যাইতে হইলে দিল্লী বা টুণ্ডলা হইয়া যাইতে হয়। দিল্লীর পথে সুবিধা এই যে, যান।পরিবর্তন করিতে হয় না। কিন্তু তাজমহল দেখিবার প্রলোভন সম্বরণ করিতে না পারিয়া আমি টুণ্ডলায় নামিয়া আগ্রায় গমন করিলাম। আগ্রায় একটি সরাইয়ে উঠিয়া পথপ্রদৰ্শক সংগ্রহ করিয়া শাজাহানের মৃত্যুজয়ী প্রেমের পুত স্মৃতি দেখিয়া আসিলাম। তাহার পর আগ্রা ত্যাগ করিয়া পরদিন প্রাতে রাজপুতানা-মালোয়া রেলপথে ভরতপুরে উপনীত হইলাম। এই ভরতপুর হইতেই রাজপুতানার প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখিতে পাওয়া যায়। যতদুর দৃষ্টি চলেঅনুর্বর প্রান্তর ; মধ্যে মধ্যে দু’ একটি বাবলা গাছ সেই রসহীন ভূমি হইতে কোনরূপে রস সংগ্রহ করিয়া আত্মরক্ষা করিতেছে । বঙ্গদেশের শুষ্ঠামায়মান বনানীর সৌন্দর্য্য বা সিন্ধুকূলের তালীবন-শুঠাম শোভা এ প্রদেশে নাই। প্রান্তরদৃশ্য রুদ্ধ করিয়া চারিদিকে আরাবলী গিরিমালার অম্বরচুখী চুড়া রবিকরে বিচিত্রবর্ণে রঞ্জিত। এইরূপ দৃশ্যের মধ্য দিয়া পরদিন প্রভাতে আজমীরে উপনীত হইলাম। আজমীর ইংরাজাধিকৃত রাজপুতানার রাজধানী ; চীফ কমিশনারের শাসনাধীন। রাজপুতানার অবশিষ্ট অংশ বহু করদরাজ্যে বিভক্ত ।। তন্মধ্যে যোধপুর, জয়পুর, আলোয়ার, বিকানীর, উদয়পুর, কোটা, বুন্দি প্রভৃতি বিশেষ প্রসিদ্ধ। আজমীর চারিদিকে আরাবলী গিরিমালায় বেষ্টিত। উপত্যকায় নগর অবস্থিত। আজমীরের