পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১২ : আর্য্যাবর্ত। - sभ बर्द-eमें नरथn ।

আশার সমাধি। Y আমরা সেবার পুরীতে ছিলাম। আমার ভগিনী বহুদিন ম্যালেরিয়ায় । ভুগিতেছিলেন, তাহার সিন্ধু-তীর-বাসের ব্যবস্থা হইলে, আমাকেই অভিভাবকতার ভার লাইতে হইল। আমার ভগিনীপতি ডাকবিভাগের কর্ম্মচারী, তাহার পক্ষে ছুটি পাওয়া একরূপ অসম্ভব। আমি তখন বি. এ. পরীক্ষা দিয়া “বেকার” অবস্থায় বসিয়া আছি। কাযেই পরীক্ষার কঠিন পরিশ্রমের পর স্বাস্থ্যুভঙ্গের নিকট, সম্ভাবনা থাকায় পুরীতে ভগিনীর রক্ষণাবেক্ষণ ও সাহায্যের ভার যখন আমার স্কন্ধে ন্যস্ত হইল, তখন আমি কাহাকেও বুঝাইতে পারিলাম না যে, আমার স্বাস্থ্যভঙ্গের সম্ভাবনা নিতান্তই অল্প; যেহেতু পরীক্ষার জন্য যে সকল ছাত্র দিবাৱান্ত্রি পরিশ্রম করে, আমি সেই অল্পবুদ্ধি বালকদিগের দলভুক্ত নাহি। পরীক্ষাটা নিতান্ত না দিলে নহে, এই মনে করিয়া, কর্ম্মফলে সম্পূর্ণ অনাসক্ত ভাবেই দিয়াছিলাম ; সুতরাং, আমার স্বাস্থ্য পূর্বাপেক্ষাও পরিপুষ্ট হইতেছে, ইত্যাদি নানা যুক্তি- - তর্কের অবতারণা করিরা যখন কোনও ফলই হইল না, তখন কাঘেই আমাকে একদিন বাধ্য হইয়া জিনিষপত্র গুছাইয়া পুরী অভিমুখে রওনা হইতে হইল । । পুৱীতে গিয়া প্রথম যখন সমুদ্র দর্শন করিলাম, তখন আমার আনন্দের । সীমা ছিল না। ঐ শ্রান্তিশূন্য চঞ্চলত, ঐ নিবিড় বিজনতা, ঐ সীমাহীন ক্সিালতা আমাকে বিস্মিত, পুলকিত, স্তব্ধ করিয়া রাখিত। আমি সারাদিন गका সৈকতে, বালুরাশির মধ্যে, নহে ত, বারান্দায় আরামকেদারায় বসিয়া সমুদ্রের বিচিত্র লীলা দেখিতাম। অন্ধকারে যখন আকাশের বিশাল কক্ষটি পূর্ণ হইয়া যাইত,-যখন নিকটের বস্তুও দৃষ্টিগোচর হইত না, তখনও আমি অতৃপ্ত নয়নে সিন্ধুর দিকে চাহিয়া থাকিতাম। সন্ধ্যার অন্ধকারে তীরসন্নিহিত ফোনিলোচ্ছল। উর্মিগুলি দীর্ঘ-অতি দীর্ঘ রজনীগন্ধার মালার মত তাঁটবক্ষে বিলম্বিত হইত। * আমার সেই তটবিলগ্ন কুটীর হইতে আমি যেন তাহার সৌরভ পর্যন্ত আত্মাণ করিতে পাইতাম। চন্দ্রোদয়ে অম্বুরাশি যখন স্ফীত ও চঞ্চল হইয়া উঠিত, তখন আমি পুলকে আত্মহারা হইয়া যাইতাম। চন্দ্রালোকে সমগ্র তটভূমি শুভ্রবাসে আচ্ছাদিত হইত, তমালতালীবনরাজি সেই বসনপ্রান্ত ख्वाइङ कउि ।