পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Creffet, YOY 4 નિશ ક્ષ{િ { SA জগদীশ্বরেরই অংশমাত্র, মানুষ যখন বুঝিতে পারে যে, আমিই সেই জগদীশ্বর (সোহহং) তখনই সে নির্বাণ প্রাপ্ত হইয়া থাকে, ইহাই শিখধর্ম্মের মূলমন্ত্র। মায়াকর্তৃক উপহত হইলে জীবের পাপসঞ্চার হয়, আত্মজ্ঞান লাভ করিলে মায়ার বন্ধন কাটিয়া যায়, -ইহাই শিখধর্ম্মের প্রধান উপদেশ। এই ধর্ম্মমতে হিন্দু, মুসলমান, জৈন, বৌদ্ধে ভেদ নাই; সকলেই সমান। সুতরাং শিখ ধর্ম্ম লোকমত ও লোৰ্কমর্যাদার পোষক। ভগবানের নাম জপ৷ করিলে মানুষ মায়ার বন্ধন কাটাইতে পারে ও আত্মজ্ঞানলাভের পথে অগ্রসর হয়, সেই জন্য সর্ব্বদা ভগবানের নাম জপ করা আবশ্যক। হিন্দুই হউন, আর মুসলমানই হউন, দীনদুঃখীই হউন, আর রাজামহারাজই হউন, সকলেই পরমাত্মার অংশ, সুতরাং সকলেই সমান। কেবল মায়ার বশে মানুষ ভ্রান্ত হইয়া ছোটবড়, উচ্চনীচ প্রভৃতির কল্পনা করিয়া থাকে। শিখধর্ম্মের এই সার্ব্বজনীন ভ্রাতৃ ভাব বৌদ্ধ ধর্ম্ম হইতে গৃহীত। গুরু নানক এই মতকে পরিপুষ্ট ও সর্ব্বাঙ্গসুন্দর করিয়া তুলেন। অন্যান্য গুরুত্ত ।

  • ১৫৩৮ খৃষ্টাব্দে গুরু নানকের তিরোভাব হয়। মৃত্যুকালে তিনি তাহার ভক্ত ভূত্যকেই শিখদিগের গুরুত্বে নিয়োগ করিয়া যায়েন। ইনি গুরু অঙ্গদ নামে

DDDDS S S SBY BY BBSLDY KBDD Y 0L DB S BD S S LBY BDY মসনদ নিয়োগপ্রথা প্রবর্ত্তিত করেন । শিখধর্ম্মের প্রচারও ভক্ত শিখদিগের নিকট হইতে অর্থসংগ্রহ করিয়া গুরুর নিকট প্রেরণ করাই ইহাদের কার্য্য নির্দিষ্ট হয়। শেষে মসন্দগণ অত্যন্ত অসাধু হইয়া উঠেন, সেই জন্য পরে শিখদিগের দশম গুরু গোবিন্দ সিংহ তাহাদিগকে বিতাড়িত করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। গুরু রামদাসই আকবরের নিকট হইতে ভূমি উপহার পাইয়াছিলেন। এবং সেই ভূমির উপর বিখ্যাত অমৃতসর খনিত করিতে আরম্ভ করেন। ইহারই পুত্র ও উত্তরাধিকারী গুরু অর্জন এই সরোবর-খননকার্য্য শেষ করেন। গুরু অৰ্জ্জুনই শিখ-গুরুগণের উক্তি ও “ভাগত” গণের উক্তি সংগ্রহ ও লিপিবদ্ধ করিয়া উহা “আদিগ্রন্থ’ নামে প্রকাশিত করেন । এই “আদি গ্রন্থই’ শিখগণের ধর্ম্মগ্রন্থ। শিখগণ এই গ্রন্থকে গুরুর ন্যায় ভক্তি ও পূজা করিয়া থাকেন। ইহাতে সাত জন গুরুরপ্রণীত গাথা লিপিবদ্ধ আছে। বলা বাহুল্য, গুরু অর্জনের পরবর্তী গুরুগণের উক্তিও এই গ্রন্থে পরে সন্নিবিষ্ট হইয়াছে। , অৰ্জ্জুনের পর পাঁচ জন গুরু শিখদিগের ধর্ম্মকার্য্যে নেতৃত্ব করিয়া যায়েন। V)