পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૨ > আর্যবর্ত্ত। » Is-et KNri করিতে নদীর দিকে ফিরিতেছিলেন, এমন সময় দেখিলেন যে, কয়েকজন হিন্দুঢাক বাজাইয়া পূজা করিতেছে। ঢাকের শব্দে তাহার মনে সীমা-নিৰ্দ্ধারণ-সমতার সমাধান হইয়া গেল। তিনি সমান্ত ঢাকীগুলিকে ঐ স্থানের মধ্যস্থলে সমবেত করিলেন এবং তাহাদিগকে প্রাণপণে ঢাক্কা নিনাদ করিতে আদেশ দিলেন । বঙ্গ, বিহার, ও উড়িষ্যার অধিপতির আদেশপ্রাপ্তিমাত্র ঢাক্কাবাদকগণ প্রাণপণে চকানিনাদ করিতে আরম্ভ করিল। ঢাকের গম্ভীর নিনাদে বুড়ীগঙ্গার তীরস্থ প্রান্তৱ প্রতিধ্বনিত হইতে লাগিল। তখন তিনি তঁহার অনুচরগণের মধ্যে একজনকে পূর্বদিকে, একজনকে পশ্চিম দিকে, আর একজনকে দক্ষিণ দিকে প্রেরণ করিলেন। যে স্থানে ঐ গভীর ঢাকের শব্দ আর শ্রত হইবে না, সেই স্থানেই তিনি তাহাদিগকে তাহদের হস্তস্থিত পতাকা প্রোথিত করিতে আদেশ করিলেন। যে যে স্থানে ঐ পতাকা প্রোথিত হয়, সেই সেই স্থানে তিনি তাহার অতীন্সিত রাজধানীর সীমা নির্ণায়ক স্তম্ভ নির্ম্মিত করেন। ঢাকের শব্দে এই নগরের সীমা নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছিল বলিয়া এই মহানগরী ঢাকা নামে প্রখ্যাত হইয়াছে। নবাব ইসলাম খাঁ এই নগরকে তদানীন্তন দিল্লীর বাদসাহ জাহাঙ্গীরের নামানুসারে জাহাঙ্গীর নগর নাম প্রদান করিয়াছিলেন। বলা বাহুল্য, এ নামে ঢাকা কখনই পরিচিত হয় নাই। ঢাকা নামের ইতিবৃত্ত সম্বন্ধে খাঁ বাহাদুর যাহা বলিয়াছেন তাহা অভ্রান্ত বলিয়া মনে হয় না। যে সময় নবাব ইসলাম খাঁ ঢাকায় আসিয়া নৌকা হইতে অবতরণ করিয়াছিলেন,- সে সময় ঐ স্থান জনশূন্য প্রান্তর ছিল না। তথায় জনপদ ছিল। নতুবা হিন্দুরা তথায় ঢাক বাজাইয়া পূজা করিবে কেন ? শক্তিপুজা ও চড়কপূজা ভিন্ন অন্য কোন সময় दिन्यूद्धl pांद बचाव न। cष जभन्न ইসলাম খাঁ ঢাকায় আসিয়াছিলেন,- সে সময় চড়কপূজার সময় নহে, শক্তিপূজারও সময় নহে। সুতরাং ইহা হইতে অনুমান হইতেছে যে, হিন্দুগণ ঢাকেশ্বরীর মন্দিরেই পূজা দিতেছিলেন বা পুজা দিতে যাইতেছিলেন। জনশ্রুতিতে প্রকাশ, সম্রাট বল্লালসেন কর্তৃক ঢাকার অধিষ্ঠাত্রী দেবী প্রতিষ্ঠিতা। এই জনশ্রীতিতে অবিশ্বাস করিবার কোন সন্তোষজনক কারণ নাই। খাঁ বাহাদুর বলেন, মন্দিরের গঠনভঙ্গী দেখিয়া উহা মহারাজ বল্লাল সেন কর্তৃক নির্ম্মিত বলিয়া মনে হয় না,-মোগল রাজত্বকালের কোন সময়ে নির্ম্মিত বলিয়াই মনে হয়। খাঁ বাহাদুরের দ্বিতীয় কথা, ঐ ঘটনার পূর্বে কোন সময় ঢাকা নামে ঐ স্থানে কোনও নগরী ছিল, সরকারী দলিলে তাহার প্রমাণ পাওয়া যায় না ; আইন-ই-আকবরীতে