পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৩৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইহার পর একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটিল। একদিন শাকখালি । হইতে আগত পুরোহিত দাসীর সহিত রাধারণীর কক্ষে উপস্থিত হইলেন ; ; বলিলেন, দুইদিন পরে তাহার সহিত কমলেশের বিবাহ দিবার জন্য তিনি আসিয়াছেন। শুনিয়া রাধারাণী বলিল, “আমি বিবাহ করিব না।” পুরোহিত বিদ্রোপের হাসি হাসিয়া বলিলেন, “তোমাকে বিবাহ করিতে হইবে । , বিবাহ কি তোমার ইচ্ছায় হইবে ?” এই সময় কমলেশ কক্ষদ্বারে উপনীত হইয়া বলিল “কি, ঠাকুর মহাশর, কি বলিতেছেন।” পুরোহিত বলিলেন, “বালিকা বলিতেছে, বিবাহ করিবে না ; যেন বিবাহ कद्रा मा कब्रा झेशद्ध छेष्छांक्षेौन ।” রাধারাণী দৃঢ়স্বরে পুনরায় বলিল, “আমি বিবাহ করিব না।” । কমলেশ বলিল, “তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তোমাকে বিবাহ করিতে झूछेद नां ।” পুরোহিত বিস্ময়বিশ্বফারিত নয়নে কমলেশের দিকে চাহিলেন । কমলেশ छ्ाँनि विद्वा ** श्ञछ् ‘হত্ব ছিত্বা চ ভিত্ত্বি চ ক্রোশষ্ট্ৰীং রুদন্তীং গৃহৎ । প্রসহ কন্যাহরণং রাক্ষসে বিধিরুচ্যতে ।” একে ব্রাহ্মণের পক্ষে রাক্ষসবিবাহ কোন কালেই প্রশস্ত নহে ; তাহাতে কলিতে তাহ প্রচলিত নাই।” পুরোহিত শুষ্ক হাসি হাসিলেন । তিনি বিবাহে ও শ্রাদ্ধে সংস্কৃত মন্ত্র পড়াইয়া থাকেন বটে ; কিন্তু সংস্কৃতের সহিত র্তাহার অন্য সুত্রে পরিচয় ছিল না। তিনি কমলেশের কথা বুঝিতে পারিলেন না ; কমলেশ তাহা বুঝিল, বুঝিয়া বলিল, “ঠাকুর মহাশয়, একটি কুলবালাকে পাশববলে অপহরণ করিয়া আনিয়া পশুর মত বন্দী করিয়া রাখিয়াছি, ইহাই কি যথেষ্ট নহে যে, আবার তাহাকে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিবাহ করিব ?” পুরোহিত কিছুক্ষণ নিৰ্বাক রহিলেন, তাহার পর বলিলেন, “কর্ত্তাকে কি ? বলিব ?” কমলেশ বলিল, “বলিবেন, বিবাহে বালিকার অসন্মতি জানিয়া আমি বিবাহ ; করিতে অস্বীকৃত হইয়াছি।” কমলেশ চলিয়া গেল। পুরোহিত তাহার অনুসরণ করিলেন।