পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৪২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

స్ట్ * : "बाँबॉब ভক্তের পুজা আমা হইতে ঘড়। সেই প্রভু বেদে ভাগবতে কৈলা দৃঢ়৷” । । - किड थी বাঙ্গলায় ভক্তের জীবনচরিত লিপিবদ্ধ নাই। বাঙ্গালা পন্তে যে ভক্তমাল গ্রন্থ প্রচলিত আছে, তাহা মৌলিক গ্রন্থ নহে-নাভাজী প্রণীত হিন্দী যুক্তমাল ও প্রিয়দাসের হিন্দী টীকার ভাবানুবাদমাত্র। এ দেশের ভক্তগণ উহাই পাঠ করিয়া থাকেন। ভক্তের চরিতাপাঠ ভক্তি-উন্মেষের প্রধান সাধন। সেই জঙ্গ সর্ব্ব ধর্ম্মাবলম্বীরাই তঁহাদের আপনি আপনি ধর্ম্মপাস্ত্র পাঠের সঙ্গে সঙ্গে * .יי * att করিয়া থাকেন। বাইবেল পাঠ করার পর Book of Martyময় পাঠ না করিলে খৃষ্টানগণের ধর্ম্মশাস্ত্র পাঠ সাঙ্গ হয় না। ইহুদী, বৌদ্ধ প্রভৃতিরও এরূপ নিয়ম। উৎকল ভাষায় ‘দাৰ্টিভক্তি রাসামৃত” নামে একখানি সুন্দর ভক্তমাল গ্রন্থ প্রচলিত আছে। এ পর্য্যন্ত উহা বঙ্গভাষায় অনুদিত হয় नांद्दे, ऐशझे বিস্ময়ের বিষয়। ঐ গ্রন্থখানিতে যে সমস্ত ভক্তচরিত্র কীর্ত্তিত আছে, সাধারণ লোকের মনে ভক্তিরসের উন্মেৰণে তাহা সম্পূর্ণ উপযোগী। সম্প্রতি বৈষ্ণব*ছুক্তামণি প্রভুপাদ শ্রীযুক্ত অতুলকৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয় ঐ গ্রন্থ হইতে আটটি ভক্তচরিত সুন্দর ও সুললিত ভাষায় প্রকাশিত করিয়া বাঙ্গলা সাহিত্যের গৌরব বৰ্দ্ধন করিয়াছেন। পুস্তকখানিতে আটটি সন্দর্ভ আছে! এক একটি সন্দর্ভে এক এক জন ভক্তের চরিত কীর্ত্তিত। এই আটটি আখ্যায়িকা ‘দার্ট্য ভক্তি রাসামৃতের” যথাযথ অনুবাদ নহে। গ্রন্থকার তঁাহার গ্রন্থের ভূমিকায় লিথিয়া ছেন,-“আমি উৎকল ভক্তচরিত্রের আক্ষরিক অনুবাদ করি নাই। আমাদের দেশের রীতিনীতির প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া—আমাদের ছাঁচে সে গুলিকে ঢালিয়া লইয়াছি। তজ্জন্য উৎকল চরিত্রের কিছু কিছু কাট ছাঁট অদল বদল করিতে হইয়াছে। চরিত্র-চিত্রের স্বাভাবিক বিকাশ-সাধন এবং ভক্তিরসের পরিপোষণের 可s স্থানে স্থানে অনেক কথা জোড়া তাঙ দিতে হইয়াছে।” ইহা হইতে বুঝা যাইতেছে যে, মূলগ্রন্থবর্ণিত চরিত হইতে র্তাহার বর্ণিত চরিত "একটু বিভিন্ন। মূল চরিত্র বজায় রাখিয়া যদি কেবল ভক্তিরসের পরিপোষণ ও “অপুর্ণ ভাগের পূর্ণতাসাধনের জন্যই গোস্বামী মহাশয় মূল কাহিনী সাজাইয়া গুছাইয়া লইয়া থাকেন, তাহা হইলে তিনি বাস্তবিকই এই গ্রন্থখানি বাঙ্গালী ভক্ত সমাজের অধিকতর আদরের জিনিষ করিয়া তুলিয়াছেন। দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা মূলগ্রন্থখানি দেখি নাই। সুতরাং পরিবর্তনের ভাল মন্দ বিচার করিবার অধি করে আমাদের নাই। আমরা এই পর্যন্ত বলিতে পারি যে, পুস্তকখানি পাঠ করিতে