পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৪৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

visiv, 304 বৈজ্ঞানিকের পরিচয় । 8९० এই অনুমান সম্বন্ধে আজকাল সকল বৈজ্ঞানিকই একমত হইয়াছেন। এমন কি উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগ হইতে কয়েকজন বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিক বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে কেবলমাত্র জড় ও শক্তির সুবৃহৎ সমষ্টি বলিয়াই ক্ষান্ত নহেন। পরন্তু তঁাহারা দেখাইতে চাহেন যে, কয়েক শ্রেণীর জড়পদার্থের চৈতন্য আছে। আমাদের আচার্য্য জগদীশচন্দ্র বসুই ঐ মতের প্রধান পরিপোষক। তিনি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা দ্বারা সপ্রমাণ করিয়াছেন যে, উদ্ভিদাদির চৈতন্য আছে। হিন্দু-দৰ্শনশাস্ত্রে যাহাকে “প্রকৃতি ও পুরুষ” আখ্যা প্রদান করা হইয়াছে, আধুনিক বৈজ্ঞানিকগণের জড়, শক্তি ও চৈতন্যের সহিত তাহার সামঞ্জস্য দেখান যাইতে পারে । Energy বা শক্তি নানা আকারে প্রকাশিত হইতে পারে, কিন্তু সৰ্ববিধ বিকাশই যে সেই একমাত্র মহাশক্তির রূপান্তরমাত্র,বিজ্ঞান তাহা সপ্রমাণ করিতে প্রয়াস পাইয়াছে এবং সেই প্রয়াসে অনেকটা কৃতকার্য্য হইয়াছে। আলোক, উত্তাপ, তড়িৎ প্রভৃতি প্রত্যেকেই এক একটি ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের শক্তি। আধুনিক অনুমান অনুসারে এই বিভিন্ন শক্তিবিকাশ ইথর নামক এক সৰ্বব্যাপী সুন্ম পদার্থের স্পন্দন হইতে সমুদ্ভুত। বিভিন্ন প্রকারের স্পন্দনদ্বারা একই শক্তি কখন উত্তাপ, কখন আলোক কখন তড়িৎ রূপে প্রকাশিত হইয়া থাকে। কোন কোন BDBDSDDYY DBDBD L KBDB S BD DBDBBYY S DDD SgD BDDYS S DDDD DBBBD BDD BDS BBBDD BgBD BY দ্রুত স্পন্দনদ্বারা আমাদিগের মানসিক ক্রিয়াগুলি (যথা চিন্তাশক্তি, ধারণাশক্তি ইত্যাদি) সম্পন্ন হয়। এই মত এখনও সর্বানুমোদিত হয় নাই। কিন্তু বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের DDB BSBD D BBBDSGD gDB DBDBBDBDD SDDD DBBDD যায়ী বিকাশমাত্র, তাহা বিজ্ঞান একদিন সপ্রমাণ করিবে। আবার আধুনিক চৈতন্যবাদের যেদিন প্রতিষ্ঠা হইবে, সেদিন বিজ্ঞান চরমোৎকৰ্ষ লাভ করিবে। সমস্ত জগৎ তখন বৈজ্ঞানিকের চরণে প্রণিপাত করিবে । পৃথিবীতে আমরা যে সকল জড়পদার্থ দেখিতে পাই, তাহা ৭৪ প্রকার বিভিন্ন মৌলিক পদার্থে বিভক্ত। বৈজ্ঞানিকেরা ইহাও অনুমান করেন যে, উক্ত ৭৪ প্রকার মৌলিক পদার্থ ( Elements), একটিমাত্র মূল পদার্থের রূপান্তরমাত্র। এ সম্বন্ধে নানা পণ্ডিত নানাপ্রকার মত ব্যক্ত করিয়াছেন। তাহার বিস্তাৱিত ভাবে আলোচনা এ ক্ষুদ্র প্রবন্ধে সম্ভবপর নহে। একাল পর্য্যন্ত বিজ্ঞানশাস্ত্রের যতদূৱ উন্নতি হইয়াছে, তাহা হইতে অনুমান ও আশা করা যাইতে পারে ।