পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৫৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লেনদেনা করিবে না? করিতেও পারে, নাও করিতে পারে। লজিক শাস্ত্র ইহার কোন উত্তর দিতে অক্ষম। তবে পর্য্যবেক্ষণে উত্তর পাওয়া যাইবে, হঁ विका न ? আর’একটু স্পষ্ট করা আবশ্যক। সোণার গিনি যে জলের প্রতি যে ব্যবহার করিতেছে, রূপার টাকাও সেই জলের প্রতি সেই ব্যবহার করিতেছে, অতএব সোণা ও রূপা পরস্পরও সেইরূপ ব্যবহার করিবে এরূপ বাধ্যবাধকতা আছে কি না ? গদাধরের সঙ্গে রামের যে ব্যবহার, গদাধরের সঙ্গে খামেরও সেই ব্যবহার, তাহা বলিয়া কি রাম শুষ্ঠামের পরস্পর ব্যবহারও কি ঠিক সেইরূপই হইবে ? গদাধর রামকে দেখিলে ঘুষি তুলে, গদাধর শু্যামকে দেখিলেও ঘুষি তুলে অতএব রামও খামকে দেখিলে ঘুষি তুলিবে, ইহা কি স্বতঃসিদ্ধ সত্য ? যদি বল, রাম-শ্যামের দৃষ্টান্ত লাইলে এখানে চলিবে না, ইহা পদার্থবিদ্যার ব্যাপার। ;-আচ্ছা, পদার্থবিদ্যা হইতেই একটা দৃষ্টান্ত লাইব। খানিকটা চা খড়িতে সলফুরিক এসিড ঢালিলেও ফ্যাস করে, নাইটক এসিড ঢালিলেও ফ্যাস করে, তাই বলিয়া সালফুরিক এসিডে নাইট্ৰক এসিড ঢালিলেও কি ফ্যাস করিবে ? কখনই না ? চা খড়ির প্রতি সালফুরিক এসিডের আচরণ ঐ উভয় দ্রব্যের স্বভাবের উপর নির্ভর করে ; আবার চা খড়ির প্রতি নাইট্রিক এসিডের আচরণ এই উভয় দ্রব্যের স্বভাবের উপর নির্ভর করে। চা খড়ির প্রতি এসিডদ্বয়ের দুইটার আচরণ দেখিয়া উহাদের পরস্পরের আচরণ সম্বন্ধে কোন সিদ্ধান্ত হইতে পারে না। সেইরূপ সোনার গিনি ও রূপার টাকা পরস্পর উত্তাপ বিনিময় করিবে কি না। তাহা সোনা ও রূপা উভয়ের ধাতুগত প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। সোণা কিংবা রূপা তৃতীয় দ্রব্য। জলের প্রতি কিরূপ আচরণ করে, তাহা দেখিয়া পরস্পরের আচরণ কিছুতেই স্থির করা যায় না। লজিকের ভাষায় বলা যাইতে পারে, ঐ দুই premise হইতে কোনরূপ conclusion অর্থাৎ সিদ্ধান্ত টানা চলে না। লজিকে পারে না বটে, কিন্তু পর্য্যবেক্ষণে পারে। প্রকৃতপক্ষে পর্য্যবেক্ষণ করিয়া দেখা দিয়াছে, গিনি যখন জলের উত্তাপ লয় না, টাকাণ্ড যখন জলের উত্তাপ লয় না, গিনি ও টাকা তখন,-কেন জানি না, উত্তাপের লেনা দেনা করে না, প্রকৃতির এই বিধান। ইহা পর্যবেক্ষণলব্ধ সত্য-ইহা পরীক্ষিত সত্য ; স্বতঃসিদ্ধ সত্য নহে। প্রকৃতির ব্যবস্থা এইরূপ। কাজেই আমরা উহা মানিয়া লই। ব্যবস্থা অন্তরূপ হইতে পারিত ; গিনির উষ্ণতা জলের সমান, টাকার SYLLK BB BD DDDS DD LDL BB LL D BDDS DD DDDLLLS