পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8や আর্য্যাবর্ত্ত । SYN R{-San MRI i ইচ্ছা হইল। অনেক অনুসন্ধানের পর একজন লোক মিলিল। সে অগ্রিম চারি। আনা পয়সা লইয়া আমাকে পাহাড়ের সকল স্থান দেখাইয়া দিতে সম্মত হইল। সে জাতিতে বাস্থ্যকর-বিবাহাদিতে ঢোল বাজায়। সহরের শেষে, যে স্থানে পাহাড়ে উঠবার রাস্তা আরবন্ধ হইয়াছে, সেই স্থানে উদয়পুরের মহারাণার একটা থানা হইতে গড় দেখিবার জন্য একখানি অনুমতি পত্র লাইতে হইল। ঈ অপ্রশস্ত ঢালু রাস্ত ক্রমাগত ঘুরিয়া ফিরিয়া উপরে উঠতেছে, এক ধারে সুদৃঢ় প্রস্তর-প্রাচীর পাহাড়ের তলদেশস্থ শক্র হইতে পথ রক্ষা করিতেছে, অন্যধারে পাহাড় সরল ভাবে উঠিয়াছে। প্রাচীরের উপর হইতে প্রচ্ছন্ন থাকিয়া বন্দুক ও কামান ছুড়িবার বন্দোবস্ত রহিয়াছে। রাস্তার প্রতি বাকে একটি করিয়া ফটক এবং নিকটে কতকগুলি দুৰ্গরক্ষক সৈন্যের বাসগৃহ । দুর্গ অধিকার করিতে হইলে শক্রকে এইরূপ কতকগুলি সুরক্ষিত তোরণ অতিক্রম করিয়া যাইতে হইবে । তোরণাগুলির নাম হনুমান পোল, গণেশ পোল, সুরব্য পোল ইত্যাদি। এক একটি তোরণ কত শত সহস্র শিশোদীয় বীরের রক্তে রঞ্জিত ! প্রতি ফটকে একজন করিয়া বন্দুক-তরবারি-ধারী রাজপুত সৈনিক পাহারা দিতেছে। — তাহাদিগকে ছাড়াপত্রখানি দেখাইয়া যাইতে লাগিলাম। এই সৈনিকগুলির কি গম্ভীর মূর্ত্তি, কি গর্ব্বিত মুখভাব ! এই গর্ব্ব ও গাম্ভীর্য্য অতীত গৌরবের চিতাভস্ম রক্ষকের পক্ষে বড়ই শোভন বোধ হইতেছিল । পাহাড়ের উপর কেবল অট্টালিকা, মন্দির, সমাধিস্তম্ভ, জয়স্তম্ভ, পুষ্করিণীর ঘাট প্রভৃতির ভগ্নাবশেষ । তাহার মধ্যে কত ঐতিহাসিক তত্ত্ব লুক্কায়িত f(z এই বিস্তৃত স্মশানে কেবল কয়েক ঘর দরিদ্র অধিবাসী, গুটিকয়েক ভগ্নমন্দির-নিবাসী সন্ন্যাসী এবং রাণার জনকয়েক ভূত্য এবং সৈনিক বাস (sfe এত উচ্চে পাহাড়ের উপর সুপেয় জল যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায়। কয়েকটি কুপের তলদেশ হইতে উৎসের জল বাহির হইতেছে। জলের সুবিধা না থাকিলে কোন পাহাড়ের উপর দুর্গ নির্ম্মাণ করা বাতুলতামাত্র, কেন না। দুর্গ আক্রান্ত হইলে সৈন্যগণ জলাভাবেই বিনষ্ট হইবে।