পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৬৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম বর্ধ-৯ম সংখ্যা। : পূর্বোক্ত আশঙ্কার উত্তরে আমাদিগের প্রাচীন দার্শনিকগণ বলেন যে' বেদ অপৌরুষেয়-স্বতঃ-প্রমাণ। যেমন জড় ঘট পটাদির স্বপ্রকাশ ত্ব না। থাকিলেও চন্দ্র সুর্য্যাদির স্বপ্রকাশকতা অবিরুদ্ধ, সেইরূপ মনুষ্যাদির স্বীয় স্কন্ধারোহণ অসম্ভব হইলেও অকুষ্ঠিতশক্তি বেদের ইতর বস্তু প্রতিপাদকত্বের ন্যায় অপ্রতিপাদকত্ব হইতে পারে। অর্থাৎ বেদ অকুষ্ঠিতশক্তি তাহার যেমন ইতর বস্তু প্রতিপাদনের যোগ্যতা আছে সেইরূপ আপনাকে আপনি প্রতিপাদিত করিবার ক্ষমতাও আছে। এই অভিপ্রায়ে কেহ কেহ বলিয়া । पंरिकन :- “চোদনাহি ভুতং ভবন্তং ভবিষ্যন্তং সূক্ষ্মং ব্যবহিতং বিপ্রকৃষ্টমিত্যেবং জাতীয়মর্থং শক্লোত্যবাগময়িতুং” বেদ ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান সূক্ষ্ম ব্যবহিত বিপ্রকৃষ্ট বস্তু অবগত করাষ্টতে সক্ষম। তাহা হইলে বুঝা যাইতেছে, বেদে প্রমাণের আবশ্যকতা নাই, বেদ আপনিই আপনার প্রমাণ। প্রাচীন পণ্ডিতগণ বেদকে অপৌরুষেয় বলিয়া থাকেন। অপৌরুষেয় কি তাহা বিচার করিয়া দেখা আবশ্যক। পুরুষ হইতে যাহা নিম্পন্ন হয় তাহাকে পৌরুষেয় বলা যায়। উহার অভাব (অর্থাৎ যাহা পুরুষসাপেক্ষ নহে) তায়ই আমরা অপৌরুষেয় বলিয়া বুঝি। : কিন্তু বেদে সেই অপৌরুষেয়ত্বের সম্ভাবনা কোথায় ? বেদ ঈশ্বর-সৃষ্ট । কোন একটি বস্তু রচনা বা নির্ম্মাণ করিতে যে শরীরের প্রয়োজন তাহা আমরা সর্বদাই প্রত্যক্ষ করিতেছি। হস্ত-পদ-বিশিষ্ট স্বর্ণকার অলঙ্কার প্রস্তুত : করিতেছে, হস্ত-পদ-বিশিষ্ট কবি কবিতা রচনা করিতেছেন । বেদ বলিতেছেন, “নরূপমস্ত্যেহ ততোপলভ্যতে” ইহার কোন রূপ আমাদিগের উপলব্ধি श्न ना अर्थ९ देनेि मिक्रश्र। ** -- “শ্রশজন্মস্পর্শমরূপমব্যয়ং তথারসং নিত্যমগন্ধবাচ্চয়ৎ ** * অনান্তনন্তং মহতঃ পরং ধ্রুবং নিচার্য্যতং মৃত্যুমুখাৎ প্রমুচ্যতে” । অর্থাৎ যাহাতে শব্দ, স্পৰ্শ, রূপ, রস, গন্ধ, ব্যয় প্রভৃতি কিছুই নাই, সেই } ჯტაუ' .. 'Y.წ. } ষ্টীয়ামেশ্বরের আরাধনা করিয়া নৃত্যুমুখ হইতে আপনাকে মুক্ত করিতে পারা