পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৬৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যায়। তবে রূপবিহীন পরমেশ্বর कि করিয়া বেদ রচনা বা নির্ম্মাণ করিতে পারেন ? এইরূপ আশঙ্কার উত্তরে কপিল বলিয়াছেন “ষস্মিন্নদৃষ্টেইপি কৃতবুদ্ধিরুপজায়তে তৎ পৌরুষেয়ম" সাংখ্যদর্শন ॥৫৫০ | দৃষ্ট পদার্থের ন্যায় অদৃষ্ট যে পদার্থে কৃতবুদ্ধি অর্থাৎ বুদ্ধিপূর্বক বুদ্ধি উৎপন্ন । হয় তাহাকেই পৌরুষেয় বলা যায়। অর্থাৎ পুরুষের উচ্চারণমাত্রেই ষে । পৌরুষেয়ত্ব তাহা নহে, কেন না। সুযুপ্তিকালীন শ্বাসপ্রশ্বাসেও পৌরুষেয়ত্ব । ব্যবহৃত হয় না। তবেই বুদ্ধিপূর্বকত্ব পর্যন্ত অনুধাবন করিতে হয়। বেদ । নিঃশ্বাসের ন্যায়ই স্বয়স্থ হইতে অবুদ্ধিপূর্বক আবিভূতি হইয়াছিল। অতএব বেদ পৌরুষেয় নহে, অপৌরুষেয়। শ্রুতিও বৃলিয়াছেন,- “তস্যৈাতন্ত মহতো ভুতস্য নিঃশ্বসিত মেতদৃগ বেদ সামবেদ যজুৰ্বেদ্যাথৰ্ববেদাঃ” এই যে ঋক সাম যজুঃ এবং অথর্ববেদ, ইহা সেই পরমেশ্বরের নিঃশ্বসিত अर्थ९ निधानङ्गला। অতএব বেদ বুদ্ধিপূর্বক লিখিত বা রচিত হয় নাই ; এজন্য উহা অপেী রুষেয়। কিন্তু যে বস্তু নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের ন্যায় আবিভূতি হইয়াছে তাহাতে । অনুমাত্রও রচনা-কৌশল নাই। যাহা যথার্থ জ্ঞানপূর্বক নহে, তাহার প্রামাণ্য । কি করিয়া স্বীকার করা যায় ? এই সংশয় অপনােদন করিতে কপিল । दलिन्न।igछम KDDDDDDDBDB BBDB MBBDS ELDDB tSL বেদের যে স্বাভাবিক যথার্থ জ্ঞানজননী শক্তি আছে, এই শক্তির অভি-' ) { ব্যক্তি আয়ুর্ব্বেদে উপলব্ধি হইয়া থাকে ; অতএব বেদ স্বতঃ-প্রমাণ। বেদ । যদি স্বতঃ-প্রমাণ হইল, তবে তদামুলক ও তদসংগ্রাহক স্মৃতি ও ইতিহাস্যাদির প্রামাণ্য ও অক্ষুন্ন । মন্ত্র ও ব্রাহ্মণ উভয়েই বেদ নামধেয়, ইহা পূর্বেই বলিয়াছি। উপনিষৎ, . ব্রাহ্মণেরই অন্তভাগ তাহাও বলিয়াছি। কিন্তু কেহ কেহ ব্রাহ্মণ-ভাগের - বেদত্ব স্বীকার করিতে চাহেন না। র্তাহারা বলিয়া থাকেন যে, ব্রাহ্মণে যখন । আখ্যায়িকা প্রভৃতি দেখা যায়, তখন ব্রাহ্মণভাগ পুরাণ বা ইতিহাসের মধ্যেই । পরিগণিত। বস্তুতঃ ব্রাহ্মণও উপনিষদে বহু আখ্যায়িকা আছে। বৃহদার- ; |ণ্যক ও ছান্দোগ্য উপনিষদে জনক, অজাতশত্রু, শ্বেতকেতু প্রভৃতির বই ...