পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৬৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

业$绝。 আর্যাবর্ত্ত। ১ম বর্ষ-৯ম সংখ্যা । বর কুমার ব্রত। Osmium এই ব্রত শনিবারে করিতে হয়। সন্তান-কামনায় রমণীগণ এই ব্রত করিয়া থাকেন। অপুল্লবতী পুত্র-কামনায় ও পুত্রবতী সন্তানের মঙ্গল কামনায় এই ব্রতের অনুষ্ঠান করিয়া থাকেন। প্রাঙ্গণে একটা স্থান বেশ পরিস্কৃত করিয়া তাহাতে সাদা গুড়া দিয়া ‘বরকুমারের’ মূর্ত্তি অঙ্কিত করিতে হয়। একখানি কদলীর “আগপাতে” চিড়া, কলা, সন্দেশ, দধি, দুগ্ধ প্রভৃতি নানা উপচারে বরকুমারের ভোগ ও আতপ চাউলের নৈবেদ্য দিতে হয়। পুরোহিত আসিয়া পূজা সমাপন করিলে ব্রত কথা বলিয়া ব্রত শেষ করিতে হয়। ব্রতিনীকে সেদিন ভোগের প্রসাদ খাইয়া দিন কাটাইতে হয়। 西西可$1日 এক মন্ত বড় রাজা । তাহার সম্পত্তির বেশ দুপিয়সা আয় ছিল ; রাজার আজলা ধন দৌলৎ, উজীর নাজীর পাত্র মিত্র সব ছিল। ঘরে দাস দাসী ছিল, গোলাভেরা ধান ছিল, গোয়াল ভরা গরু ছিল, হাতিশালে হাতী ছিল, ঘোড়ােশালে ঘোড়া ছিল – ধনে মানে গুণে রাজার রাজপাট অটুট ছিল। তবে রাজা ও রাণী মরিলে বংশে বাতি দিতে তঁহাদের কেউ ছিল না। রাজা ও রাণী ব্যতীত পরিবারে আর আপনার বলিতে একটি প্রাণীও ছিল না, এই ছিল তঁদের দুঃখ । রাজা ও রাণী সেই জন্য বড়ই বিমর্ষ ছিলেন । কাহারে সঙ্গে বড় একটা আলাপ পরিচয় করিতেন না। লোকে তঁহাদিগকে আঁটকুড়ে বলিয়া ডাকিত। এইরূপ দিন যায় ; আসে, থাকে, যায়। একদিন ভোর বেলা বাড়ীর মালী আসিয়া বাড়ী ঝাড়ু দিতেছে এমন সময় রাজা দুয়ার খুলে ঘর হাতে বাহির হলেন । তাহাকে দেখিয়া মালী বলিতে লাগিল “হায় অদৃষ্ট, আজ না জানি * কপালে কি আছে। এই আঁটি কুড়ে রাজার মুখ সকাল বেলায় দেখলাম।” : কথাটা রাজার কাণে গেল। রাজা ক্ষোতে জলে গেলেন। রাজা তখনই রাণীকে সব জানাইলেন। রাণী ক্ষোভে দুঃখে রাজাকে বলিলেন—“আর সংসারে থেকে কাষ নাই, চল আমরা বনে যাই ; ছোট লোক ভূইমালী সেও বলে ক্ষুশর্টকুল্কো রাণু এ পোড়া মুখ আর লোক-সমাজে দেখাব না।” যেই কথা