*৬৬০ আর্য্যাবত্ত। ১ম বর্ষ-১০ম সংখ্যা । পুরাতন প্রসঙ্গ । ( o ) পণ্ডিত মহাশয়ের কাছে আজ প্রথমেই বিদ্যাসাগরেব প্রসঙ্গ তুলিয়া বলিगांभ, “দেখুন তাহার বিষয়ে যাহা কিছু লিখিত হইতেছে, সমস্তই তাহার হৃদয়ের উদারতা দেখাইবার জন্য। বিদ্যাসাগর ত দয়ার সাগর বটেই ; কিন্তু তাহার intellect এর দিক হইতে তিনি আপনার নিকট কিরূপ প্রতীয়মান হইয়াছিলেন, আজ সেই কথা। আপনি অনুগ্রহ করিয়া বলুন। তাহার সাধারণ কথা— । दांडी़ किझश्र छिल ?” তিনি বলিলেন—“কথাবার্ত্তা সম্বন্ধে বিদ্যাসাগরের সঙ্গে ডাক্তার জনসনের অনেকটা সাদৃশ্য লক্ষিত হয়। মেকলে ডাঃ জনসন সম্বন্ধে যে কথা বলিয়াছেন, বোধ হয় তোমার মনে আছে ; যিনি লিখিবার সময় গমগমে Johnsonese ও Latinisms ছাড়া কিছুই লিখিতে পারিতেন না, তিনি কিন্তু সাধারণ কথাবার্ত্তায় একটিও ল্যাটিন কথার ব্যবহার করিতেন না । বিদ্যাসাগর মহাশয় ও সাধারণ কথাবার্ত্তায় সংস্কৃত শব্দ আদৌ ব্যবহার করিতেন না। র্তাহার লেখা পড়িলে মনে হয় যে, যেন তিনি সংস্কৃত ভাষা ব্যতীত আর কিছুই জানেন না ; কিন্তু লোকের সঙ্গে মজলিসে কথা কহিবার সময় এমন কি বাঙ্গালা। Slang শব্দ পর্য্যন্ত ব্যবহার করিতে কুষ্ঠিত হইতেন না-; ‘ফ্যাপাতুড়ো খাওয়া’ (to be confounded ) ‘দহরম মহরম,’ ‘বনিবনাও ‘বিদঘুটে ‘বাহবা লওয়া”—এই রকমের ভাষা প্রায়ই র্তাহার মুখে শুনা যাইত,-যাহাকে সাধু ভাষা বলে তিনি সে দিকেই যাইতেন না। ‘সীতার বনবাস' প্রভৃতি পুস্তকের রচয়িতা সম্বন্ধে লোকের সাধারণতঃ ধারণা হয় যে, তিনি নিশ্চয়ই, শক্ত শক্ত সংস্কৃত কথা ভালবাসিতেন, এবং তঁাড়ার রচনাও সেই প্রকার শব্দেই গঠিত। কিন্তু প্রকৃত কথা, তাহা নহে। বিদ্যাসাগর মহাশয় যে ভাষার উপরে আপনার Style গঠিত করিয়াছিলেন তাহ সংস্কৃত গ্রন্থের ভাষা নহে; সেই সময়ে ব্রাহ্মণ পণ্ডিতরা সাধারণ কথোপকথনে যে ভাষা ব্যবহার করিতেন সেই ভাষাই বিদ্যাসাগরের রচনার ধনিয়াদ। একটা উদাহরণ দিয়া আমি এই বিষয়টা ভাল করিয়া তোমাকে বুঝাইয়া লিখেছি। ‘মহাসমারোহে এই কথাটা সাধারণে যে অর্থে ব্যবহার করে, তিনিও
পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৬৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।