পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৬৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাখ, ১৩১৭ . বিচিত্র পিতৃকুলানুরাগ।। ৬৬৫ g বিচিত্র পিতৃকুলানুরাগ। নারীজাতি স্বভাবতঃ পিতৃকুলের প্রতিই সমধিক আসক্তিসম্পন্ন । পতিপুত্রাদির শ্রীবৃদ্ধি-দর্শনে তাহাদিগের মনে প্রীতির সঞ্চার হয় সত্য; কিন্তু তাহারা পতিকুল অপেক্ষাও পিতৃকুলের অনুরাগিণী-শ্বশুর ও স্বামী প্রভৃতি হইতে পিতা, পিতামহাব্দির গৌরবেই অধিকতর গরবিণী। পতিকুলের নিন্দার কথা বরং কোনও । প্রকারে তঁহাদিগের সহনীয় হইতে পারে, কিন্তু পিতৃকুলের নিন্দাবাদ একেবারেই অসহ্য। রাজপুত রমণীর নিকট পিতৃকুলনিন্দকের ক্ষমা নাই ; শ্বশুর কি স্বামী । হইলেও, তাহার নিগ্রহ কি দণ্ডভোগ অনিবার্য। এই অনন্যসাধারণ পিতৃকুলানুরাগ বশতঃ রাজপুত জাতির মধ্যে কত যে শোচনীয় হত্যাকাণ্ডের অভিনয় হইয়া গিয়াছে, কে তাহার ইয়ত্তা করিতে পারে ? আমরা এই প্রবন্ধে জনৈকা রাজপুত রাস্ত্রীর বিচিত্র পিতৃকুলানুরক্তির ও তাহার। ভীষণ পরিণামকাহিনীর আলোচনা করিব । একসময়ে একজন পরমার বংশীয় রাজপুত্র, মিবার রাণার আশ্রয়ে, ভাইসৱোর প্রদেশের শাসনদণ্ড পরিচালনা করিতেন । তিনি তঁাহার প্রতিবাসী মেঘাবত-বংশসস্তুত বেইগু সামন্তের এক কন্যার পাণিগ্রহণ করেন এবং তদীয় প্রণয়পাশে আবদ্ধ । হইয়া পরমানন্দে কালাতিপাত করিতে থাকেন। কিছুকাল এইরূপে অতিবাহিত হইল। কিন্তু চিরদিন কখনও সমান যায় না। সুখের পর দুঃখ, । আলোকের পর আধারের ন্যায়, বিধাতার অপরিবর্তনীয়, অখণ্ডনীয় বিধান । আজীবন অবিচ্ছিন্ন সুখভোগের অধিকারী থাকা কাহারও পক্ষে সম্ভবপর নহে । পরমার সামন্তের ভাগ্য ও সুতরাং অধিক দিন প্রসন্ন রহিল না । অকস্মাৎ তাহার সুখের সাগরে দুঃখের তুফান উঠিল-মিলনের অমল আকাশে বিচ্ছেদের কাল মেঘ দেখা দিল । একদা “পচিশী”-ক্রীড়া উপলক্ষে, রাণীর সহিত সামন্তরাজের তর্ক বিতর্ক’ আরম্ভ হইল এবং সেই তর্ক বিতর্ক ক্রমে বচসায় ও পরিশেষে বিষম বিবাদে । পরিণত হইয়া পড়িল। পরমারপতি ক্রোধ-সংবরণে অসমর্থ হইয়া মেঘাবত-. নন্দিনীর পিতৃবংশের নিন্দা করিলেন—তাহার পিতা ও ভ্রাতাদির উদ্দেঙ্গে । গানিস্বচক বাক্য উচ্চারণ করিলেন। সামন্ত-পত্নী এতক্ষণ স্বামীর কঠোর বাক । ف۹ "