পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৭১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোমাকে একটি বিশেষ কার্য্যের জন্য অনুরোধ করিতে আসিয়াছি। অন্য উপায় থাকিলে আমি তোমাকে বিরক্ত করিতাম না।” : , রাণী কোন উত্তর দিতে পারিলেন না। রাজার এই কথায় তাহার হৃদয় ব্যথিত হইল। রাজা বলিলেন, “অজয় বিবাহ করিয়াছে।” রাণী বিস্মিতভাবে রাজার মুখে চাহিলেন। কিন্তু উভয়ের দৃষ্টি মিলিত হাহঁলেই রাণীর দৃষ্টি নত হইয়া পড়িল । রাজা পুনরায় বলিলেন, “অজয় আমাকে না জানাইয়া বিবাহ করিয়াছে। কিন্তু আমি এ বিবাহ সিদ্ধ বলিয়া গ্রহণ করিতে অভিলাষী ; কারণ, অজয় স্বয়ং দেখিয়া-ভালবাসিয়া বিবাহ করিয়াছে।” ... রাণীর হৃদয়ে যেন বেদনার হিল্লোল বহিয়া গেল। ভালবাসা ! ভালবাসার সুখলাভ যাহার ভাগ্যে ঘটে না-দুঃখলাভমাত্র সারা হয় ; যে কুসুম চয়ন করিতে পারে না-কেবল কণ্টকাঘাত ভোগ করে, তাহার মত দুঃখী কে ? যে বহুদিন পরে আপনার সে দুৰ্দশা উপলব্ধি করিতে পারে, তাহার দুঃখের অন্ত নাই। ১. রাজা বলিলেন, “বিবাহ সিদ্ধ বলিয়া গ্রহণ করিবার পূর্বে আমি উভয়ের প্রকৃত মনোভাব অবগত হইতে ইচ্ছা করি। সেই জন্য তোমার নিকট আসিস্বাছি। আগামী কল্য তোমার কোন আবশ্যক কার্য আছে কি ?” : রাণী শিরঃ-সঞ্চালনে জানাইলেন,-না । তাহার মুখে কথা ফুটিল না। তাহার ইচ্ছা হইতেছিল, স্বামীর চরণে পতিত হইয়া বলেন,-তোমার নির্দিষ্টতোমার অভিন্সিত কার্য্য অপেক্ষা আমার আর কোন কার্য বড় ? : কতকগুলি ভূমিচম্পক-গুল্ম প্রস্রবণাধার বেষ্টিত করিয়া ছিল। তাহাদের একটি অসময়ে কুসুম-শীর্ষ হইয়া উঠিয়াছিল—প্রশ্বন্ধু টােন্মািখ কোরক কেবল লজ্জােরক্ত হইতেছিল। রাজা সেইটিকে নাড়িতে নাড়িতে আপনার উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায় ব্যক্তি করিতে লাগিলেন। রাণী নিবিষ্টচিত্তে—মুগ্ধভাবে তাঁহার কথা শুনিতে

  • সে কথা শেষ করিয়া রাজা বলিলেন, “বোধ হয় তোমাকে বুঝাইতে পারিয়াছি, এ কার্য তোমার সাহায্য ব্যতীত নিষ্পন্ন হওয়া অসম্ভব ; তাই অনন্তোপায় *হইয়া আমি তোমাকে বিরক্ত করিলাম। তোমার সুবিধা হইবে কি ?” । : রাণী বললেন “স্থা।” তাহার কণ্ঠ রুদ্ধ হইয়া আসিতেছিল। তঁহার কুঞ্জনেরঞ্জাব যদি তিনি কথায় প্রকাশ করিতে পারিতেন, তবে তিনি বলিতেন,-