পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৭১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: 'অজয় সিংহ বলিলেন, “রাজা আজ কি জন্য তোমাকে আনিতে বলিয়াছেন, তাহা আমি অবগত নাহি। সম্ভবতঃ তিনি তোমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করিবেন।” । রেবা বলিল, “কি জিজ্ঞাসা করিবেন ?” ; : “তাহা ত আমি জানি না। সেই কথাই ভাবিতেছি।” “সে জন্য ভাবনা কেন ? তিনি ষােহা জিজ্ঞাসা করিবেন, আমি তাহাই বলিব৷” —যিনি স্বামীর ভ্রাতা-যাহার যশ আজ রাজ্যের প্রান্ত হইতে প্রান্ত পর্যন্ত ব্যাপ্ত-যাহার দয়ার কথা আজ লোকপ্রসিদ্ধ—র্তাহার প্রশ্নে ভয় কি ? তিনি কি কঠোর হইতে পারেন ? রেবা সরলা-প্রেমবিহ্বলা—সে কথা কল্পনাও করিতে পারিল না। অজয় সিংহ ভাবিলেন, সত্য সত্যই ভাবনা কেন ? ভাবিয়া যখন কিছু স্থির জানা অসম্ভব, তখন ভাবনা অনাবশ্যক। বিশেষ রেবাকে তিনি কি শিখাইবেন ? রেবার বুদ্ধির ও বিবেচনার পরিচয়ে তিনি মুগ্ধ হইয়াছিলেন। তাহার বুদ্ধি স্বভাবতঃ তীক্ষ। তঁহার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মিয়াছিল, রাজা যাহাঁই জিজ্ঞাসা করুন, রোবাকে তাহার উত্তর শিখাইতে হইবে না। এইরূপে বিশ্বাসই প্রেমের ফল— প্রেম প্রেমিকজনকে পরস্পরের সম্বন্ধে এইরূপ দৃঢ়বিশ্বাসবশবর্ত্তী হইয়া কার্য্য করিতে শিখায়। কাযেই সে কথা আর আবশ্যক বােধ হইল না। তখন রেবা বলিল, “তুমি এত দিন আত্মপরিচয় দাও নাই কেন ?” অজয় সিংহ হাসিয়া বলিলেন, “তাহা হইলে কি তুমি আমাকে অধিক ভালবাসিতে ?” রেবা উত্তর করিতে পারিল না। অজয় সিংহকে সামান্য সৈনিক জানিয়া সে তঁহাকে যেরূপ ভালবাসিয়াছে, তিনি রাজাধিরাজ জানিলে কি সে র্তাহাকে তাহার অপেক্ষা অধিক ভালবাসিতে পাদিত ? সে যে হৃদয়ের পূর্ণ প্রেম সেই সৈনিককে দিয়াছে—আর ত কিছুই অবশিষ্ট রাখে নাই! সে তাঁহাকে তাহার হৃদয়েশ্বরের আসনে বসাইয়াছে—কোন রাজরাজেশ্বরের আসন তদপেক্ষ আদর; আজ অজয় সিংহ তাহার সমগ্র হৃদয় ব্যাপিয়া বিদ্যমান-তাহা তিনি সৈনিক বলিয়া নহেন—রাজভ্রাতা বলিয়া নহেন ; তাহার পতি—তাহার জীবন

့်’ ကို့

সর্ব্বস্বরলিয়া। রেবা তাহা বুঝিতে পারিল। সে আর কি উত্তর দিবে ?