পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৭৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাখ, ১৩১৭ বত্তীর্মান বঙ্গসাহিত্য ৭০৩ : . .. پع .!. . উপর যদি কোন সাহিত্য প্রতিষ্ঠিত হয় তবে সে সাহিত্যও স্বল্পবিস্তারী এবং : যুগ ধর্ম্ম পরিবর্তনের সঙ্গে পরিবর্তনশীল। এ যুগে যাহা সুনীতি বলিয়া গণ্য ۔چچ"; তেছে অন্যযুগে তাহা গভীর দুর্ণাতিদুষ্ট বলিয়া বিবেচিত হইতে পারে। সুতরাং সে যুগে এই পূর্বকালের সাহিত্য অপাঠ্য হইয়া পড়িবে-সঙ্গে সঙ্গে কবির যশ:- ? সৌরভেরও পর্য্যাবসান হইবে। ভারতের ধর্ম্মই প্রাণ-ভারত ধর্ম্মের জন্য সব দিয়াছে, দিতেও পারে। তখন । সাহিত্যের ভিত্তি ধর্ম্ম হওয়াই উচিত। এই ধর্ম্ম যেন আবার সাম্প্রদায়িক না হয়। । কারণ সাহিত্য সম্প্রদায়-বিশেষের নহে। এ ধর্ম্ম বিশ্বজনীন উদার ধর্ম্ম । যে | সাহিত্যের এই ধর্ম্মই ভিত্তি সে সাহিত্যের বিনাশ নাই। কারণ, ধর্ম্মের বিনাশ, ১ বা পরিবর্তন ততদূর সম্ভব নহে। যদি সম্ভব হইত। তবে দ্বিসহস্ৰ বৎসর বা অজস্র অত্যাচারের ঝঞ্চ শির পাতিয়া সহ্য করিয়া আজও হিন্দু-ধর্ম্ম মেঘোত্মক্ত শারদশশধরের মত পূর্ণভাববিশিষ্ট হইয়া বিরাজিত থাকিতে পারিত না। অনার্যের সহিত সংঘাতে বৌদ্ধের সহিত সংঘাতে, মসলমানের সহিত সংঘাতে সমস্ত । ংঘাতেই হিন্দুধর্ম্ম বিজয়ী। স্থিতিস্থাপক হিন্দুধর্ম্ম डांड७ ऊाशूनि । আমরা ভারতের নর নারী। ভারতের জল, বায়ু, বিশ্বাস, ধর্ম্ম আমাদের মোদ- ২ মজ্জায় সংগ্রহিত। অন্য ভাব বা নীতি আমাদের সহ্য হইবে না। আজ যে | আমরা যুরোপীয় আদর্শে কাব্য নাটকাদি রচনা করিতেছি, ইহা আমাদের আজ , , কালই ভাল লাগিতেছে। কিন্তু পরে এই প্রণালী কি আমাদের বংশধরদের ভাল লাগবে ? মুসলমান আদর্শে রচিত বাঙ্গালা রচনাগুলি কি এখন আমাদের ভাল লাগে ? তাই বলিতেছি, সাহিত্য শাশ্বত, ক্ষণিক নহে। সাহিত্যের যে ধাতু, তাহাও একটি শাশ্বত বস্তুতে সংবদ্ধ থাকাই প্রয়োজনীয়। এই | জন্যই আজও বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, কৃষ্ণদাস, গোবিন্দদাস, ও সুরদাস ཚ་ཚུ་ཨེ་ বাঙ্গালী কবির গীত গাথা, কালীদাস, ভারবী, জয়দেব প্রভৃতি সংস্কৃত কবির কাব্য । গাথা, হৃদয়ের প্রতি তন্ত্রীতে বাজিয়া উঠিয়া আপামরসাধারণকে আত্মবিস্মৃত করিয়া । দেয়। সাহিত্যের এই ধর্ম্ম অক্ষুন্ন রাখিতে কবি ভারতচন্দ্র বিন্যাসুন্দর” কেওঁ: ধর্ম্মের মেরুদণ্ড দিয়াছেন । ܼ ܼܲܕ ধর্ম্মে ও সাহিত্যে যে কত ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ সামান্য আলোচনা করিলেই তাহা । সুস্পষ্ট হয়। ধর্ম্মের বিপ্লবেই ভাষার বিপ্লব সাধিত হয়। হিন্দুধর্ম্মের পূর্ণ বিকাশের দিনে সংস্কৃত ভাষারই বহুল প্রচলন ছিল ; ও সেই সময়েই সংস্কৃত ভাষায় চরমোৎকর্ষ সাধিত হইয়াছিল । বৌদ্ধ ধর্ম্মের সঙ্গে সঙ্গে পালি ভাষার দিন ।