পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৭৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গয়া । . . যে স্থানে মধ্যভারতের মালভূমি বাঙ্গালা ও বিহারের গঙ্গাতীরবর্তী । সমতল ভূখণ্ডে অবতরণ করিয়াছে তথায় যে অনুচ্চ পৰ্বতমালার সৃষ্টি হইয়াছে । তাহারই কয়েকটি শৃঙ্গ গয়াতীর্থকে মনোরম করিয়াছে। ব্রহ্মযোনি, রামশীলা প্রভৃতি পাহাড়গুলির উপরে অনেকটা স্থান পরিস্কৃত করিয়া প্রাঙ্গণের : ন্যায় করা হইয়াছে; তাহারই মধ্যস্থলে দেবদেবীর মন্দির। পাহাড়ে উঠবার জন্য সোপানশ্রেণী আছে; তাহার সাহার্য্যে দুর্বল বৃদ্ধাগণও উপরে উঠেন। . আমরা সে দিন যখন ব্রহ্মযোনির উপর উঠতে আরম্ভ করিলাম, তখন সন্ধ্যা হইবার আর অধিক বিলম্ব নাই। সোপানে না উঠিয়া পাহাড় যে স্থানে অত্যন্ত খাড়াই সেই দিক দিয়া উঠিতে আমাদের ইচ্ছা হইল। গয়াপ্রবাসী দুইজন শিক্ষিত মহারাষ্ট্রীয় ব্রাহ্মণ আমাদিগকে সে দিক দিয়া যাইতে নিষেধ করিলেন-কেন না, তাহাতে বিপদের সম্ভাবনা । তঁহাদের নিষেধ সত্ত্বেও যখন আমরা উঠিতে লাগিলাম, তখন আমাদিগের কি হয়, দেখিবার জন্য তঁাহারা বিস্ময়-বিন্ধফারিত লোচনে পৰ্বতপার্শ্বাস্থলে দাড়াইয়া রহিলেন । আমরা নিরাপদে উপরে উঠলে তঁাহারা হয় তা আমাদিগকে কোন পাৰ্বত্যজাতীয় বলিয়া সিদ্ধান্ত করিয়াছিলেন । পর্ব্বতের উপর হইতে অতি সুন্দর দৃশ্য নয়ন-গোচর হইল। নিকটস্থ উদ্যান ও শস্তক্ষেত্র, অনতিদুরন্থ বালুকাময় ফন্তু তীরবর্তী পাষাণময়ী গয়ানগরী। এবং দুরবস্তাঁ পৰ্বতমালা এক মনোমুগ্ধকর চিত্রের সৃষ্টি করিল। ক্রমে। সন্ধ্যা সমাগতা দেখিয়া পাহাড়ের উপর হইতে তীর্থযাত্রিগণ এবং পুজাৱী । ব্রাহ্মণ সকলেই নামিয়া গেলেন। সেই জ্যোৎস্নাপুলকিত যামিনীতে, নির্জন পর্বতশিখরে আমরা কয়টিমাত্র মানব রহিলাম । সে সময় আমাদের মনে যে অপরূপ ভাবের উদয় হইয়াছিল। তাহা: উপভোগের বিষয়, বর্ণনার নহে। মনে হইতে লাগিল, এইরূপ একটিঃ স্থানে বুদ্ধদেব কতবৎসর যোগ অভ্যাস করিয়াছিলেন-যোগের উপযুক্ত স্থান বটে। মন স্বভাবতঃই জগৎ হইতে জগৎকারণের দিকে আকৃষ্ট হয়। সে দিন গোস্বামীকৃত দশাবতারস্তোত্র এবং শঙ্কর বিরচিত শিবস্তোত্র । বেরূপ মধুর শুনাইয়াছিল সেরূপ আর কখনও শুনি নাই। । मन् दुरेहङ স্বতঃই বাহির হইতেছিল . . . . . . ." " ܩ *