পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৮১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কান্তন, ৩১৭ . . কুনালের পিতৃভক্তি। ৭৯১ - পালন করিবার জন্য পুনঃপুনঃ অমাত্যগণকে অনুরোধ করিতে লাগিলেন। ফলে তাহার উজ্জ্বল চক্ষু উৎপাটিত হইল ; তিনি সস্ত্রীক রাজ্য হইতে নির্বাসিত হইলেন । পিতৃ-আদেশ পালন করিবার জন্য, জীবনের জ্যোতি-স্বরূপ চক্ষুদ্ধয় হারাইয়া কুনাল নানাস্থান পরিভ্রমণ করিয়া অবশেষে পাটালিপুত্রে উপস্থিত হইলেন। তিনি একদিন কোন সুযোগে রাজপ্রাসাদমধ্যে প্রবেশ । করিয়া আপনার জীবন-নাটকের করুণ অঙ্কটি তালমান সংযোগে সুমিষ্ট কণ্ঠে । গাহিতে লাগিলেন। রাজচক্রবর্ত্তী অশোক পুরীমধ্যে অবস্থান করিতে, ছিলেন। কুনালের কণ্ঠস্বর তাহার শ্রুতিগোচর হইল। তিনি সত্বর বহিরে আসিলেন । পুত্রের এবম্বিধ অবস্থার বিষয় তিনি অবগত ছিলেন না। পিতাপুত্রের মিলনের পর অশোক সমুদায় বিষয় জানিতে পারিলেন। কথিত আছে যে, ঐ সময় গোসা নামক এক জন দিব্যশক্তিসম্পন্ন ভিক্ষু পাটালিপুত্রের সন্নিহিত স্থানে বাস করিতেন। পুত্রের দৃষ্টিশক্তি পুনলাভের জন্য অশোক তঁহার নিকট স্বয়ং উপস্থিত হয়েনি। ঐ মহাত্মার আদেশে পরদিন প্রাতে একটি বৃহতী ধর্ম্মসভার আয়োজন হয়। গোসার উপদেশ শ্রবণ করিবার জন্য দলে দলে নরনারী সমবেত হইলে, তাহার জ্বালাময়ী বক্ততার ফলে সমবেত জনমণ্ডলীর নয়নে সংক্ষুব্ধ অশ্রদ্ধারা প্রবাহিত হইয়াছিল। কারুণোচ্ছসিত অশ্রুধারা প্রত্যেকের হস্তস্থিত পাত্রে রক্ষিত হয়। ধর্ম্মোপদেশ শেষ হইলে গোসা উচ্চ কণ্ঠে বলিলেন, “আমি যদি চিরজীবন বুদ্ধের পবিত্র ধর্ম্মের যথার্থ ব্যাখা করিয়া থাকি, তবে কুনাল দৃষ্টিশক্তি পুনরায় ফিরাইয়া পাইবেন।” এই বলিয়া তিনি পাত্রস্থিত নয়নাসার যুবকের নয়নে লিপ্ত করিলেন। ইহাতেই কুনাল ১ আবার দৃষ্টিশক্তি লাভ করেন। কথিত আছে যে, যুবক পিতৃ-আদেশ পালন করিবার জন্য যে স্থানে । আপনার চক্ষু উৎপাটিত করেন, তক্ষশিলার সান্নিধ্যে সেই স্থানে অশোক । কুনালের পিতৃআজ্ঞানুবর্ত্তিতা স্মরণার্থ স্তুপ নির্ম্মিত করান । এই স্তুপই তঁহার কীর্ত্তি ইতিহাসে জাগরূক রাখিবার পক্ষে যথেষ্ট বলিয়া । বিবেচিত হইয়াছিল। · ভারতের এক রাজপুত্র একদিন পিতৃআদেশ পালনের জন্য শাসনদণ্ড ফলিয়া বনাশ্রয় করিয়াছিলেন। আর একজন “পিতা স্বৰ্গ পিতা ধর্ম্ম” ৷