পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৮৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ve ۰. আর্য্যাৱৰ্ত । 3-y २भ न था। কৃষিকার্য সম্বন্ধে অনুসন্ধান করিবার জন্য এবং কিরূপে ইহার উন্নতি হইতে তাহা স্থির করিবার জন্য বিলাত হইতে প্রেরিত হইলেন । ১৮৯৩ খৃঃ অব্দে তিনি তঁহার মন্তব্যপূর্ণ বিস্তৃত বিবরণী , গভৰ্মেন্টের নিকট দাখিল করিলেন। তিনি ভারতবর্ষের কৃষিকার্য্যের অবস্থা পর্য্যবেক্ষণ করিয়া একটু হতাশভাবে মন্তব্য প্রকাশ করিলেন যে, ভারতের কৃষিকার্য্যের উন্নতি হওয়া সম্ভব বটে, কিন্তু এই কার্য বহু-সময়-সাপেক্ষ । তিনি তঁহার রিপোর্ট মধ্যে কৃষির উন্নতি বিষয়ে বহুতর উপদেশ এবং নব পদ্ধতি প্রদান করিয়াছিলেন, কিন্তু আজ পর্য্যন্ত র্তাহার যুক্তিপূর্ণ উপদেশাদি কার্য্যে পরিণত হয় নাই । সেই সুবৃহৎ রিপোর্টের মধ্য দিয়াই আমাদের কৃষিকার্কের উন্নতি সাধিত ক্রমে সমগ্র বঙ্গদেশের বিভিন্ন স্থানে ৮/১০টি কৃষি-পরীক্ষা (Experimental) অথবা কৃষি-প্রদর্শনী (Demonstration) ক্ষেত্র প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। কৃষিবিভাগের অধ্যাক্ষের অধীনে এইগুলি ন্যস্ত হইয়াছে। ১ অধ্যক্ষগণ প্রায়ই সিবিলিয়ন। সিবিলিয়নগণ এ বিদ্যায় সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ। বিশেষ এই সকল সরকারী কৃষিক্ষেত্র হইতে এ পর্যন্ত এক পয়সাও লাভ হয় নাই। এই সকল ক্ষেত্রের কৃষিকার্য্য পর্য্যালোচনা করিলে স্পষ্টই মনে হয় যেন, সেইগুলির কার্য্য,་ ‘cकांग्लiानिक भांव, fra ța” . এই নীতিদ্বারা পরিচালিত হইতেছে। ফলে কিছুই হইতেছে না-কেবল টাকার অপব্যয়। এই সকল কৃষিক্ষেত্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য আমাদের কৃষিকার্ঘ্যের উন্নতি করা। সরকারী কৃষিক্ষেত্রের কার্য্যাবলী লক্ষ্য করিয়া যাহাতে কৃষকেরা বিশুদ্ধ বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে কৃষিকার্য্য পরিচালনা করিয়া কৃষির উন্নতি করিতে পারে এই উদ্দেশ্যে প্রদৰ্শনী ক্ষেত্রগুলি স্থাপিত হইয়াছে।

- কিন্তু যখন এ পর্যন্ত কোন সরকারী ক্ষেত্র হইতে এক পয়সাও লাভ হয় নাই, কেবল ক্ষতি হইতেছে, তখন কৃষকগণ তথাকথিত বিজ্ঞানসন্মত প্রখ্যা কেন অবলম্বন করিবে ? কৃষকদিগের চক্ষুর সম্মুখে যদি দেখান যায় যে, তথা-কথিত বৈজ্ঞানিক উপায় অবলম্বন করিলে, তাহারা পূর্বাপেক্ষা দুই টাকা ত্বধিক উপার্জন করিতে পারে, তবে তাহারা স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া সেই সকল পৃদ্ধতি অবশ্নয়ন করিবে। একটা পুরাতন কথা মনে পড়িল -তখন বিপ্রদাস "বায়ুর পয়ঃপ্রণালী সবেমাত্র প্রকাশিত হইয়াছে ; কয়েকজন ভদ্রসন্তান সেই