পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| R আক্রমণ করিল। উভয়স্থলেই বহু রাজপুত ও পাঠানের শোণিতে রণক্ষেত্র রঞ্জিত হইল। কিন্তু ভীমসিংহ ও পদ্মিনী নির্বিঘ্নে দুর্গে প্রবেশ করিলেন। গোরা নামক পদ্মিনীর পিতৃবংশীয় এক মহাবীর এই সময় চিতোরের একজন সেনানায়ক ছিলেন । গোরা এবং তঁাহার ভ্রাতুষ্পপুত্র দ্বাদশবৰ্ষীয় বালক বাদল এই যুদ্ধে অতুল বীরত্ব প্রদৰ্শন করেন। গোরা এক নিজের অসিতে বহুসংখ্যক পাঠান সেনা বধ করিয়া বীরশয্যায় শয়ন করিলেন । বালকবীর বাদল অশ্বারোহণে পাঠান সেনার বুহুভেদ করিয়া চিতোর দুর্গে প্রবেশ করিলেন। গোরার পত্নী গোরার যোগ্য সহধর্ম্মিণী ছিলেন। বাদল গৃহে ফিরিবামাত্র তিনি তঁহাকে কহিলেন,- “বাদল, তোমার পিতৃব্যের মৃত্যু সংবাদ আমি পাইয়াছি। আমি অনুমৃত্যু হইব সংকল্প করিয়াছি । কেবল তোমার মুখে একবার তঁর শেষ বীরত্বের কাহিনী শুনিব বলিয়া এতিক্ষণ অপেক্ষা করিতেছি। বল বাদল, তার বীরত্বের কথা সব আমাকে বল । জীবনে শেষ সাধ আমার পূর্ণ হউক। স্বামীর বীরত্ব লীলার কাহিনী শুনিতে শুনিতে, হাসিতে হাসিতে, গৌরবে আমি স্বামীর কাছে চলুিয়া যাই ।” বাদল এই শেষ যুদ্ধে গোরার অতুল বিক্রম ও সাহসের কথা সব বলিলেন। গোরার পত্নী হাসিমুখে চিন্তানলে প্রবেশ করিলেন। এদিকে চিতোর অধিকার করিয়া পদ্মিনীকে লাভ করা অসাধ্য”বুঝিয়া আলাউদ্দিন দিল্লীতে ফিরিয়া গেলেন।