পাতা:আলালের ঘরের দুলাল.djvu/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৮৯ ]

 মতিলাল ও তাহার সঙ্গীরা নানা রঙ্গের রঙ্গী হইয়া অনেক প্রকার লীলা করিতে লাগিল কিন্তু কোন্‌ লীলা যে শেষ লীলা হইবে, তাহা বলা বড় কঠিন। তাহাদিগের আমোদ-প্রমোদের তৃষ্ণা দিন২ বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। এক২ রকম আমোদ দুই-একদিন ভাল লাগে —তাহার পরেই বাসি হইয়া পড়ে, আবার অন্য কোনো রং না হইলে ছট্‌ফটানি উপস্থিত হয়। এইরূপে মতিলাল দলবল লইয়া কাল কাটায়। পালাক্রমে এক২ জনকে এক২ টা নূতন২ আমোদের ফোয়ারা খুলিয়া দিতে হইত, এজন্য একদিন হলধর দোলগোবিন্দের গায়ে লেপমুড়ি দিয়া ভাইলোক সকলকে শিখাইয়া পড়াইয়া ব্রজনাথ কবিরাজের বাটীতে গমন করিল। কবিরাজের বাটীতে ঔষধ প্রস্তুতের ধুম লেগে গিয়াছে— কোন খানে রসাসিন্ধু মাড়া যাইতেছে —কোন খানে মধ্যম নারায়ণ তৈলের জ্বাল হইতেছে —কোন খানে সোণা ভস্ম হইতেছে। কবিরাজ মহাশয় এক হাতে ঔষধের ডিপে ও আর এক হাতে এক বোতল গুড়ুচ্যাদি তৈল লইয়া বাহিরে যাইতেছিলেন, এমন সময়ে হলধর উপস্থিত হইয়া বলিল, রায় মহাশয়! অনুগ্রহ করিয়া শীঘ্র আসুন —জমিদারবাবুর বাটীতে একটি বালকের ঘোরতর জ্বরবিকার হইয়াছে— বোধ হয় রোগীর এখন তখন হইয়াছে তবে তাহার আয়ু ও আপনার হাতযশ —অনুমান হয় মাতব্বর২ ঔষধ পড়িলে আরাম হইলেও হইতে পারে। যদি আপনি ভাল করিতে পারেন যথাযোগ্য পুরস্কার পাইবেন। এই কথা শুনিয়া কবিরাজ তাড়াতাড়ি করিয়া রোগীর নিকট আসিয়া উপস্থিত হইলেন। যতগুলিন নব বাবু নিকটে ছিল তাহারা বলিয়া উঠিল —আসতে আজ্ঞা হউক২ কবিরাজ মহাশয়! আমাদিগকে বাঁচাউন—দোলগোবিন্দ দশপোনের