কালই দিন ভাল, অমনি সাজ্রে২ শব্দ হইতে লাগিল ও উদ্যোগ পর্ব্বের ধূম বেধে গেল। কেহ সেতারার মেজ্রাপ হাতে দেয় —কেহ বাঁয়ার গাব আছে কি না তাহা ধপ্সপ্ করিয়া পিটে দেখে —কেহ তবলায় চাঁটি দিয়া পরক করে —কেহ ঢোলের কড়া টানে —কেহ বেহালায় রজন দিয়া ডাডা২ করে —কেহ বোচ্কা বুঁচ্কি বাঁধে —কেহ চরস গাঞ্জা মায় ছুরি, কাঠ লইয়া পোঁটলা করে —কেহ ছর্রার গুল চাটের সহিত সন্তর্পণে রাখে —কেহ পাকামালের ঘাট্তি কম্তি তদারক করে। এইরূপে সারা দিন ও সারা রাত্রি ছট্ফটানি, ধড়্ফড়ানি, আন্, নিয়ে আয়, দে, শোন, ওরে হেঁরে, সজ্জাগজ্জা, হো হাতে কেটে গেল।
গ্রামে ঢিঢিকার হইল বাবুরা সৌদাগরি করিতে চলিলেন। পর দিবস প্রভাতে যাবতীয় দোকানি, পসারি, ভিকিরি, কাঙ্গালি ও অন্যান্য অনেকেই রাস্তায় চাহিয়ে আছে ইতিমধ্যে নববাবুরা মত্ত হস্তির ন্যায় পৈয়িস্২ করত মস্২ শব্দে ঘাটে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। অনেক ব্রাহ্মণ পণ্ডিত আহ্নিক করিতেছিলেন, গোলমাল শুনিয়া পশ্চাতে দৃষ্টিপাত করিয়া একেবারে জড়সড় হইলেন। তাঁহাদিগকে ভীত দেখিয়া নববাবুরা খিল্২ করিয়া হাসিতে২ গঙ্গামৃত্তিকা, ঝামা ও থুৎকুড়ি গাত্রে বর্ষণ করিতে লাগিল। ব্রাহ্মণেরা ভগ্নাহ্নিক হইয়া গোবিন্দ২ করিতে২ প্রস্থান করিলেন। নববাবুরা নৌকায় উঠিয়া সকলে চীৎকার স্বরে এক সখীসম্বাদ ধরিলেন —নৌকা ভাঁটার জোরে সাঁসাঁ করিয়া যাইতেছে কিন্তু বাবুরা কেহই স্থির নহেন —এ ছাতের উপর যায় ও হাইল ধরে টানে —এ দাঁড় বহে ও চক্মকি নিয়ে আগুন করে। কঞ্চিৎদূর যাইতে২ ধনামালার সহিত দেখা হইল —ধনামালা ড়ব মুখড় —জিজ্ঞাসা করিল— গ্রামটাকে তো পুড়িয়ে খাক কর্লে আবার গঙ্গাকে জ্বলাচ্ছ কেন? নববাবুরা রেগে বলিল —চুপ