পাতা:আলালের ঘরের দুলাল.djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ১৭৫ ]

তুমি আমাকে সব্বর্দা বলিতে ছেলের বাল্যকালাবধি মাজা বুদ্ধি ও ধর্ম্মজ্ঞান জন্য শিক্ষা না হইলে ঘোর বিপদ ঘটে, এ কথাটির উদাহরণ মতিলালেতেই পাওয়া গেল। দুঃখের কথা কি বলিব? এ সকল দোষ বাবুরামের —তাঁহার কেবল মোক্তারি বুদ্ধি ছিল —বুড়িতে চতুর কিন্তু কাহণে কাণা, দূঁর২!!

 বেণী। আর এ সকল কথা বলিয়া আক্ষেপ করিলে কি হইবে? এ সিদ্ধান্ত অনেকদিন পূর্ব্বেই করা হয়েছিল —যখন মতির শিক্ষা বিষয়ে এত অমনোযোগ ও অসৎ সঙ্গ নিবারণের কোনো উপায় হয় নাই তখনই রাম না হতে রামায়ণ হইয়াছিল। যাহা হউক, বাঞ্ছারামেরই পহোবার —বক্রেশ্বরের কেবল আঁকুপাঁকু সার। মাস্টারি কর্ম্ম করিয়া বড়মানুষের ছেলেদের খোশামোদ করিতে এমন আর কাহাকেও দেখা গেল না—ছেলেপুলেদের শিক্ষা দেওয়া তথৈবচ, কেবল রাত দিন লব২, অথচ বাহিরে দেখান আছে আমি বড়ো কর্ম্ম করিতেছি —যা হউক মতিলালের নিকট বাওয়াজির আশাবায়ু নিবৃত্তি হয় নাই —তিনি “জল দে২” বলিয়া গগিয়া আকাশ ফাটাইয়াছেন কিন্তু লাভের মেঘও কখন দেখিতে পান নাই —বর্ষণ কি প্রকারে দেখিবেন?

 প্রেমনারায়ণ মজুমদার বলিল —মহাশয়দিগের আর কি কথা নাই? কবিকঙ্কণ গেল —বাল্মীক গেল —ব্যাস গেল—বিষয় কর্ম্মের কথা গেল —একা বাবুরামি হাঙ্গামে পড়ে যে প্রাণ ওষ্ঠগত হইল —মতে ছোঁড়া যেমন অসৎ তেমনি তার দুর্গতি হইয়াছে, সে চুলায় যাউক, তাহার জন্য কিছু খেদ নাই।

 হরি তামাক সাজিয়া হুঁকাটি বেণীবাবুর হাতে দিয়া