পাতা:আলালের ঘরের দুলাল.djvu/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ১৯৮ ]

—সকলেই মঙ্গলাকাঙ্ক্ষী হইয়া প্রার্থনা ও আশীর্ব্বাদের পুষ্প বৃষ্টি করিতে লাগিল।

 হেরম্বচন্দ্র চৌধুরী বাবু পর দিবস আসিয়া বলিলেন —রামবাবু! আমি বুঝিতে পারি নাই —বাঞ্ছারামের পরামর্শে তোমাদিগের ভদ্রাসন দখল করিয়া লইয়াছি —আমি অত্যন্ত দুঃখিত হইয়াছি যে তোমাদিগের পরিবারকে বাহির করিয়া বাটী দখল লইয়াছি। তোমার অসাধারণ গুণ —এক্ষণে আমি বাটী অমনি ফিরিয়া দিতেছি, আপনারা স্বচ্ছন্দে সেখানে গিয়া বাস করুন। রামলাল বলিলেন —আপনার নিকট আমি বড় উপকৃত হইলাম, যদ্যপি আপনার বাটী ফিরিয়া দিবার মানষ হয় তবে আপনার যাহা যথার্থ পাওনা আছে গ্রহণ করিলে আমরা বাধিত হইব। হেরম্ববাবু এই প্রস্তাবে সম্মত হইলে রামলাল তৎক্ষণাৎ নিজে হইতে টাকা দিয়া দুই ভায়ের নামে কওয়ালা লিখিয়া লইয়া পরিবারের সহিত পৈতৃক ভদ্রাসনে গেলেন এবং ঊর্দ্ধদৃষ্টি করত কৃতজ্ঞচিত্তে মনে২ বলিলেন —“জগদীশ্বর! তোমা হইতে কি না হইতে পারে!”

 অনন্তর রামলালের বিবাহ হইল ও দুই ভাইয়ে অতিশয় সম্প্রীতে মায়ের ও অন্যান্য পরিবারের সুখবর্দ্ধক হইয়া পরম সুখে কাল যাপন করিতে লাগিলেন। বরদা বাবু বরদাপ্রসাদাৎ বদরগঞ্জে বিষয় কর্ম্মার্থ গমন করিলেন —বেচারাম বাবু বিষয় বিভব বিক্রয় করিয়া প্রকৃত বেচারাম হইয়া বারাণসীতে বাস করিলেন —বেণী বাবু কিছু দিন বিনা শিক্ষায় সৌখিন হইয়া আইন ব্যবসাতে মনোযোগ করিলেন —বাঞ্ছারাম বহুৎ ফন্দি ও ফেরেক্কা করিয়া বজ্রাঘাতে মরিয়া গেলেন —বক্রেশ্বর খোসামোদ