পাতা:আলালের ঘরের দুলাল.djvu/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৩১ ]

 বক্রেশ্বর। মতিলাল এত মন্দ নহে—আমি স্বচক্ষে স্কুলে দেখিয়াছি তাহার স্বভাব বড়ো ভাল—সে তো ছেলে নয়, পরেস পাথর, তবে এমনটা কেন হইল বলতে পারি না।

 ঠকচাচা। মুই বলি এসব ফেল্‌ত বাতের দরকার কি? ত্যাল খেড়ের বাতেতে কি মোদের প্যাট ভর্‌বে? মকদ্দমাটার বনিয়াদটা পেকড়ে শেজিয়া ফেলা যাওক।

 বাঞ্ছারাম। (মনে মনে বড় আহ্লা‌দ—মনে করিছেন বুঝি চিড়া-দই পেকে উঠিল) কারবারী লোক না হইলে কারবারের কথা বুঝে না। ঠকচাচা যাহা বলিতেছেন তাহাই কাজের কথা। দুই-একজন পাকা সাক্ষীকে ভাল তালিম করিয়া রাখিতে হইবে—আমাদিগকে বটলর সাহেবকে উকিল ধরিতে হইবে—তাতে যদি মকদ্দমা জিত না হয় তবে বড় আদালতে লইয়া যাব—বড় আদালতে কিছু না হয়—কৌন্সেল পর্য্যন্ত যাব,—কৌন্সেলে কিছু নাহয় তো বিলাত পর্য্যন্ত করিতে হইবে। এ কি ছেলের হাতে পিটে? কিন্তু আমাদিগের বটলর সাহেব না থাকিলে কিছুই হইবে না। সাহেব বড়ো ধর্ম্মিষ্ঠ—তিনি অনেক মকদ্দমা আকাশে ফাঁদ পাতিয়া নিকাশ করিয়াছেন আর সাক্ষীদিগকে যেন পাখী পড়াইয়া তইয়ার করেন।

 বক্রেশ্বর। আপদে পড়িলেই বিদ্যা বুদ্ধির আবশ্যক হয়। মকদ্দমার তদ্বির অবশ্যই করিতে হইবেক। বেতদ্বিরে দাঁড়িয়া হারা ও হাততালি খাওয়া কি ভাল?

 বাঞ্ছারাম। বটলর সাহেবের মত বুদ্ধিমান উকিল আর দেখিতে পাই না। তাহার বুদ্ধির বলিহারি যাই। এসকল মকদ্দমা তিনি তিন কথাতে উড়াইয়া দিবেন। এক্ষণে শীঘ্র উঠুন—তাঁহার বাটীতে চলুন।

 বেণী। মহাশয় আমাকে ক্ষমা করুন। প্রাণ