বগ্লসওয়ালা ইংরাজী জুতা। ভাত খাইবার অবকাশ নাই কিন্তু খাস্তার কচুরি, খাসা গোল্লা, বর্ফি, নিখুঁতি, মনোহরা ও গোলাবি খিলি সঙ্গে২ চলিয়াছে।
প্রথম প্রথম কুমতির দমন না হইলে ক্রমে ক্রমে বেড়ে উঠে। পরে একেবারে পশুবৎ হইয়া পড়ে—ভাল-মন্দ কিছুই বোধ থাকে না, আর যেমন আফিম খাইতে আরম্ভ করিলে ক্রমে২ মাত্রা অবশ্যই অধিক হইয়া উঠে তেমনি কুকর্ম্মে রত হইলে অন্যান্য গুরুতর কুকর্ম্ম করিবার ইচ্ছা আপনা আপনি আসয়া উপস্থিত হয়। মতিলাল ও তাহার সঙ্গী বাবুরা যে সকল আমোদে রত হইল ক্রমে তাহা অতি সামান্য আমোদ বোধ হইতে লাগিল— তাহাতে আর বিশেষ সন্তোষ হয় না, অতএব ভারি২ আমোদের উপায় দেখিতে লাগিল। সন্ধ্যার পর বাবুরা দঙ্গল বাঁধিয়া বাহির হন—হয় তো কাহারো বাড়িতে পড়িয়া লুটতরাজ করেন নয়তো কাহারো কানাচে আগুন লাগাইয়া দেন— হয় তো কোন বেশ্যার বাটীতে গিয়া শোর সরাবত করিয়া তাহার কেশ ধরিয়া টানেন বা মশারি পোড়ান কিম্বা কাপড় ও গহনা চুরি করিয়া আনেন—নয়তো কোন কুলকামিনীর ধর্ম্ম নষ্ট করিতে চেষ্টা পান। গ্রামস্থ সকল লোক অত্যন্ত ব্যস্ত, আঙুল মট্কাইয়া সর্ব্বদা বলে তোরা ত্বরায় নিপাত হ।
এইরূপ কিছুকাল যায়—দুই-চারি দিবস হইল বাবুরাম বাবু কোন কর্ম্মের অনুরোধে কলিকাতায় গিয়াছেন। একদিন সন্ধ্যার সময় বৈদ্যবাটীর নিকট দিয়া একখানা জানানা সোয়ারি যাইতেছিল। নববাবুরা ঐ সোয়ারি দেখিবামাত্র দৌড়ে গিয়ে চারিদিক ঘেরিয়া ফেলিল ও বেহারাদিগের উপর মারপিট আরম্ভ করিল, তাহাতে বেহারারা পাল্কি ফেলিয়া প্রাণভয়ে অন্তরে গেল। বাবুরা পাল্কি খুলিয়া দেখিল একটি পরমা সুন্দরী কন্যা