ঠেওরে২ দেখেছি যে, মণিরামপুরের মাধব বাবু আচ্ছা আদমি —তেনার নামে বাগে গরুতে জল খায় —দাঙ্গা-হাঙ্গামের ওক্তে লেঠেল মেংলে লেঠেল মিল্বে —আদালতের বেলকুল আদমি তেনার দন্তের বিচ —আপদ্ পড়্লে হাজারো সুরতে মদত্ মিলবে। কাঁচড়াপাড়ার রাম হরি বাবু সেকন্ত আদ্মি —ঘেসাট ঘোসাট করে প্যাট-টালে —তেনার সাথে খেসি কামে কি ফায়দা?
বেচারাম। বাবুরাম! ভাল মন্ত্রী পাইয়াছ!—এমন মন্ত্রীর কথা শুন্লে তোমাকে সশরীর স্বর্গে যাইতে হইবে —আর কিবা ছেলেই পেয়েছ! —তাহার আবার বিয়ে? বেণী ভায়া তোমার মত কি?
বেণী। আমার মত এই—যে পিতা প্রথমে ছেলেকে ভালো রূপে শিক্ষা দিবেন ও ছেলে যাহাতে সর্ব্বপ্রকারের সৎ হয় এমত চেষ্টা সম্যক্রূপে পাইবেন —ছেলের যখন বিবাহ করিবার বয়েস হইবে তখন তিনি বিশেষরূপে সাহায্য করিবেন। অসময়ে বিবাহ দিলে ছেলের নানাপ্রকার হানি করা হয়।
এই সকল কথা শুনিয়া বাবুরাম বাবু ধড়মড়িয়া উঠিয়া তাড়াতাড়ি বাটীর ভিতর গেলেন। গৃহিণী পাড়ার স্ত্রীলোকদিগের সহিত বিবাহ সংক্রান্ত কথাবার্ত্তা কহিতেছিলেন। কর্ত্তা নিকটে গিয়া বাহির বাটীর সকল কথা শুনাইয়া থতমত খাইয়া দাঁড়াইলেন ও বলিলেন —তবে কি মতিলালের বিবাহ কিছু দিন স্থগিত থাকিবে? গৃহিণী উত্তর করিলেন —তুমি কেমন কথা বল —শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে ষেটের কোলে মতিলালের বয়েস ষোল বৎসর হইল —আর কি বিবাহ না দেওয়া ভাল দেখায়? এ কথা লইয়া এখন গোলমাল করিলে লগ্ন বয়ে যাবে—কি কর্ছো একজন