বিদ্যারত্ন কেমন আছেন? ব্রাহ্মণ পেটের জ্বালায় মণিরাম পুরে নিমন্ত্রণে গিয়া পা ভাঙিয়া বসিয়াছে!—আহা কাল যে করে লাঠি ধরিয়া স্নান করিতে যাইতেছিলেন তাঁহাকে দেখিয়া আমার দুঃখ হইল।
বিদ্যাভূষণ। বিদ্যারত্ন ভাল আছেন, চুন হলুদ ও সেঁকতাপ দেওয়াতে বেদনা অনেক কমিয়া গিয়াছে। মণিরামপুরের নিমন্ত্রণ উপলক্ষে কবিকঙ্কণ দাদা যে কবিতা রচনা করিয়াছেন, তাহাতে রং আছে —বলি শুনুন।
ডিমিকি২, তাথিয়ে থিয়ে বোলে নহবত বাজে।
মাধব ভবন। দেবেন্দ্রসদন। জিনি ভুবন বিরাজে।
অদ্ভুত সভা। আলোকের আভা। ঝাড়ের প্রভা মাজে২।
চারিদিকে নানা ফুল। ছড়াছড়ি দুই কুল। বাদ্যের কুল২ ঝাঁজে।
খোপে২ গাঁদা মালা। রাঙা কাপড় রূপার বালা। এতক্ষণে বিয়ের শালা সাজে।
সামেয়ানা ফর্ ফর্। তালি তাতে বহুতর। জল পড়ে ঝর্ ঝর্ হাজে।
লেঠিয়াল মজপুত। দরওয়ান রজপুত। নিনাদ অদ্ভুত গাজে।
লুচি চিনি মনোহরা। ভাঁড়ারেতে খুব ভরা। আল্পনার ডোরা ডোরা সাজে।
ভাট বন্দী কত২। শ্লোক পড়ে শত২। ছন্দনানা মত ভাঁজে।
আগড়্পাড়া কবিবর। বিরচয়ে ওঁহিপর। ঝুপ করে এলো বর সমাজে।
হলধর গদাধর উসু খুসু করে।
ছট্ ফট্ ছট্ ফট্ করে তারা মরে।
ঠকচাচা হন কাঁচা শুনে বাজে কথা।
হলধর গদাধর খাইতেছে মাথা।