পাতা:আলোর ফুলকি.djvu/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮২
আলোর ফুলকি

বাদল ঝরে গড় করি,
জলে ভাসে মাঠ, ঘাট আর বাট,
এলো বাতাস এলোমেলো,
লাফ দিয়ে ঝড় এলো
ঘাড় ধ'রে ব’লে গেল, “কর গড় কর”...।

 কোলাব্যাঙ ধুয়ে ধরলেন,”কে তারে গড় করে। কে কারে গড় করে।”সোনাব্যাঙ চিতেন গাইলেন, “বাতাস তারে গড় করে, সবাই তারে গড় করে।” ফেরত গাইলে সব ব্যাঙ,“গড় কর, গড় কর। কর্ কর গড় কর। গড় কর, গড় কর।” কুঁকড়ো ব্যাঙেদের শুধালেন, “স্বপনপাখির গান কেমন।”

 ব্যাঙর বললে,“আমরা কেউ থাকি পাথর-চাপ, কেউ থাকি কুয়োর তলায়, আমাদের কানে কেমন ক’রে সে গান আসবে। তরে স্বপন আমরা দেখি বটে, শীতের ক’মাস চব্বিশ ঘণ্টাই। গেছোব্যাঙকে শোধালে হয়, সে স্বপন আর পাখি দুই দেখেছে।”

 কুঁকড়ো গেছোব্যাঙকে শুধালেন স্বপনপাখির গানের কথা।

 গেছে তার কটকটে আওয়াজে পাখির গানের নকল দেখিয়ে দিলে, “দম ফাটু দম ফাট। দুয়ো দুয়ো দুয়ো দুয়ো...।” নকলটা মোটেই আসলের মতো হল না, কিন্তু কুঁকড়ো ভাবলেন সত্যিই স্বপনপাখি এমনিই গায়, তিনি ব্যাঙদের বললেন, “আহা বেচারা পাখি যদি এই গান গেয়েই খুশি থাকে তো থাক-না। তার উপর উৎপাত ক’রে কী হবে। মশা মারতে কামান পাতবার কী দরকার।”

 ব্যাঙর বললে, “না মশয়, আপনার গান যেদিন শুনেছি, সেইদিনই বুঝেছি, কী বিস্ত্রী স্বপনপাখিটার গান। আপনার স্বর শুনলে আমাদের যেন ডানা গজিয়ে উঠে উড়তে ইচ্ছে হয়। আর তার গান, ছোঃ” ব’লে সব ব্যাঙগুলো হাচতে লাগল। তাঁর গান শুনে ব্যাঙর ডানা গজিয়ে সব উড়ে চলেছে এ ছবিটা মনে ক’রে কুঁকড়ে বেশ একটু আমোদ পেলেন। ব্যাঙর তার হাসি দেখে আরো জোরে ছাতা পিটতে লাগল, “জয় কুঁকড়ে, জয় কুঁকড়ো” বলে।

 সোনালি বেরিয়ে এসে বললে, “এত গোল কিসের।” কুঁকড়ো বললেন, “ব্যাঙর। আমায়