পাতা:আশাকানন.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আশাকানন
১০৯

নয়নের নীরে অঙ্কিত চিত্রের
একে একে রেখা তুলে;
করিয়া মার্জ্জিত সর্ব্ব অবয়ব
নিরঙ্ক করিয়া পরে,
বিছায়ে বিছায়ে সেই চিত্রপট
দুই করতলে ধরে;
পরশে হৃদয়ে পরশে মস্তকে
যতনে করে চুম্বন;
পরে ছিন্ন করি ফেলি ধরাতলে
সন্তাপে করে গমন।
বলে “রে এখন(ও) বিদীর্ণ হলি নে
হায় রে কঠিন হিয়া!
কি ফল বাঁচিয়া এ হেন মধুর
আশা বিসর্জ্জন দিয়া?
ভাবিতাম আগে না জানি কতই
কোমল মানব-মন;
ছিল যত দিন আশার হিল্লোল
করিত হৃদে ভ্রমণ।
বুঝেছি এখন লৌহ-ধাতুময়
কঠোর নরের হৃদি;
অনন্ত দুঃখের কারণ করিয়া
গঠিলা আমায় বিধি।”
কোনখানে দেখি প্রাণী শত শত
শয়ন করি ভূতলে,
পাষাণের ভার তুলিয়া বিষম
রাখিছে হৃদয়তলে;
কাঞ্চন মুকুট, মণিময় দণ্ড,
হেম-বিমণ্ডিত আসি,
ধূলি-সমাচ্ছন্ন, প্রতি জন পাশে
পড়েছে কতই খসি;