এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হেমচন্দ্র-গ্রন্থাবলী

দেখাব সেখানে কত কি অদ্ভূত,
কত কিবা অপরূপ,
দেখে নাই যাহা নয়নে কখন
স্বপনে কোন সে ভূপ;
থাকিবে কাননে স্বরগে যেমন,
কাঁদিতে হবে না আর;
শোক চিন্তা তাপ ভুলিবে সকল,
ঘুচিবে প্রাণের ভার।”
বচনে আশার পাইয়া আশ্বাস
পশ্চাতে তাহার সনে
যাই দ্রুতগতি হৈয়ে কুতূহলী
প্রবেশিতে সে কাননে।
আসি কিছু দূর দাঁড়াইলা আশা
হাসিয়া মধুর হাসি,
পরশি তর্জ্জনী মম আঁখিদ্বয়ে
কহিলা মৃদুল ভাষি;
"হের বৎস, হের সম্মুখে তোমার
আমার কাননস্থল,
কাননের ধারে হের মনোহর
ধারা কিবা নিরমল।”
নিরখি সম্মুখে আশার কানন
প্রক্ষালিত ধার-জলে;
স্বচ্ছ কাচ যেঙ্গ সলিল তাহাতে
উছলি উছলি চলে;
কখন উথলি উঠিছে আপনি,
কখন হইছে হ্রাস,
মণি-পদ্ম কত, মণির উৎপল
ধারা-অঙ্গে সুপ্রকাশ;
খেলে ধারা-নীরে তরী মনোহর
হীরকে রচিত কায়,