এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
হেমচন্দ্র-গ্রন্থাবলী
দেখেছ কি কভু কখন কোথাও
তরী হেন চমৎকার,
পরশে পরাণে বিনাশে বিরাগ,
ঘুচায় প্রাণের ভার;
উঠ তরী’পরে, বুঝিবে তখন
এ কাননে কত সুখ;
নন্দন-সদৃশ রচেছি কানন
ঘুচাতে প্রাণীর দুখ।”
এত কৈয়ে আশা ধরিয়া আমারে
তুলিলা তরণী’পর;
অমনি সে ধারা- সলিল উথলি
চলে দ্রুত থর থর;
দেখিতে দেখিতে পূরিয়া দু কূল
ছল ছল চলে জল;
দেখিতে দেখিতে সলিল ঢাকিয়া
ফুটিল কত উৎপল;
চলিল তরণী গতি মনোহর,
মধুর মুরলীধ্বনি
বাজিতে লাগিল সহসা চৌদিকে
তরীতে সদা আপনি;
ভুলিলাম যেন এ বিশ্ব-ভুবন
করতলে স্বর্গ পাই।
চারি দিকে যেন মণিময় পুষ্প
নিরখি যেখানে চাই।
শুনি যেন কেহ কহে শ্রুতিমূলে
"দেখ রে নয়ন মেলি,
কলঙ্ক-বিহীন মানব-মণ্ডলী
ধরাতে করিছে কেলি;
স্বৰ্গতুল্য এবে হয়েছে পৃথিবী,
স্বর্গের মাধুরীময়,