এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
হেমচন্দ্র-গ্রন্থাবলী

নিরখি তাদের আক্লিষ্ট বদন
আশারে জিজ্ঞাসা করি,
কেন বা সে সব প্রাণী সেই দ্বারে
সেরূপ আকার ধরি।
আশা কহে “বৎস, অন্য কোন পথ
যে প্রাণী নাহিক পায়,
কর্ম্মক্ষেত্র-মাঝে এই দ্বারে তারা
প্রবেশ করিতে চায়;
শ্রম নামে দুঃখী শুনিয়াছ তুমি
নরে তুচ্ছ যার নাম,
সেই শ্রম এই হের মূর্ত্তি তার
কষ্টে সিদ্ধ মনস্কাম।”
শুনি আশা-বাণী দুঃখিত অন্তরে
নিকটে তাহার যাই,
বিনয়ে নিবৃত্ত করিয়া শ্রমেরে
বারতা ধীরে সুধাই;
সান্ত্বনা-বাক্যেতে হৈয়ে সুশীতল
কহে দ্বারী খেদস্বরে,
বলিতে বলিতে বক্ষঃস্থলে নিত্য
ঘর্ম্মবিন্দু ঘন ঝরে;
কহে “চিরদিন আমি এইরূপে
এই সে কোদালি ধরি,
ধরণী খনন করি অহরহ,
না জানি দিবা শর্ব্বরী,
প্রভাত ফুরায় আ(ই)সে অপরাহ্ন
আবার প্রভাত হয়,
তবু ক্ষণকাল এ ক্ষিতি খননে
আমার বিরাম নয়,
দিবস যামিনী খুঁড়িয়া খুঁড়িয়া
নিত্য যা সঞ্চয় করি,