এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
হেমচন্দ্র-গ্রন্থাবলী

নিশ্বাস প্রশ্বাস বহিছে সঘনে
অপরূপ তেজ তায়,
নিমেষে পরশে শরীর যাহার,
দেবশক্তি যেন পায়;
প্রাণিগণ আসি দ্বারে উপনীত
হয় নিত্য যেই ক্ষণ,
সে নিশ্বাস-বেগে আবর্ত্ত আকারে
প্রবেশে পুরে তখন;
যথা নদীগর্ভে ঘুরিতে ঘুরিতে
সলিল যখন চলে,
পড়িলে তাহাতে ভগ্নতরী-কাষ্ঠ
মুহূর্ত্তে প্রবেশে তলে,
এথা সেইরূপে ঘুরিতে ঘুরিতে
প্রাণী প্রবেশিছে তায়,
ক্ষণকাল স্থির কেহ দৃঢ় পদে
সেখানে নাহি দাঁড়ায়;
প্রাণীর আবর্ত্তে পড়িতে পড়িতে
আশা দৃঢ় করে ধরি
রাখিল আমারে স্তম্ভ-বহির্দ্দেশে
যতনে সুস্থির করি।
বিস্ময়ে তখন কৌতুক প্রকাশি
আশার বদন চাই,
আশা কহে “বৎস, না হও চঞ্চল
আছি সঙ্গে ভয় নাই;
এ মহাপুরুষ এই ষষ্ঠ দ্বারে
ভুবনে বিখ্যাত যিনি
উৎসাহ নামেতে অসম সাহস,
সেই মহাপ্রাণী ইনি।”
আশার বাক্যেতে উৎসাহ তখন
আনন্দে আগ্রহে অতি