এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
হেমচন্দ্র-গ্রন্থাবলী

আরোহী যে জনে না পারে ধরিতে,
অস্ত্রে কাটে হস্ত পদ,
এমনি বিষম বাসনা দুরন্ত
এমনি ঈর্ষা দুর্ম্মদ;
তবু সে পরাণী উঠে তরুশিরে
আনন্দে কাঞ্চন বাঁধে;
ফুটিয়া বসন থাকিয়া থাকিয়া
মণি-আভা নেত্র ধাঁধে;
ছিন্ন হস্ত পদ কত প্রাণী হেন
হেরি সেথা তরু'পরে
উঠে অকাতরে কত তরু বাহি
ক্ষত অঙ্গে রক্ত ঝরে;
সে রুধির-ধারা নাহি করে জ্ঞান
প্রাণী সে কাঞ্চন পাড়ে,
কনকের পাতা কনকের ফল
যতনে বসনে ঝাড়ে।
এইরূপে সেথা উঠে নিত্য প্রাণী,
কভু আইসে কোন জন
অতি দূর হৈতে সে প্রাণিমণ্ডলী
নিমিষে করি লঙ্ঘন;
বিজুলির গতি উঠে তরু'পরে
কেহ না ছুঁইতে পায়,
তরুর শিখরে উঠেছে যখন
তখন সকলে চায়।
তরু হৈতে পুনঃ রতন পাড়িয়া
নামে শেষে ধরাতলে;
তরুতলস্থিত প্রাণিগণ এবে
কেহ নাহি কিছু বলে;
যায় দম্ভ করি দেখায়ে রতন
ভয়ে সবে জড়সড়,