এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
হেমচন্দ্র-গ্রন্থাবলী

না পড়ে যাহারা উঠিয়া শিখরে,
ঘন সিংহনাদ ছাড়ে;
পড়িছে প্রাসাদ চারি দিকে যত
নিরখি আনন্দ বাড়ে।
সে প্রাসাদমালা উপরে আশ্চর্য্য
প্রাণী এক হেরি ভ্রমে,
বিজুলির লতা ক্রীড়া করে যেন
প্রাসাদশিখরে ক্রমে।
আরোহী প্রাণীরা নিকটে আইলে
মুকুট তুলিয়া ধরে;
অধৈর্য্য হইয়া প্রাণী সে সকল
কিরীট শিরেতে পরে;
পরিয়া উজ্জ্বল কিরীট মস্তকে
বেগে নামে ধরাতলে;
ছাড়িয়া হুঙ্কার কাঁপায়ে মেদিনী
মহাদম্ভ তেজে চলে;
বলে গর্ব্ব করি "পৃথিবী সৃজন
বল সে কাহার তরে,
না যদি সম্ভোগ করিবে এ ধরা
কেন বিধি সৃজে নরে।
সুর-বীর্য্য ধরি যে আসে মহীতে
তাহারি উচিত হয়।
ভুঞ্জিতে ধরাতে ঐশ্বর্য্য প্রতাপ,
পশু যারা ভাবে ভয়।
ধর্ম্ম লৈয়ে ভাবে পাবে কর্ম্ম-ফল
পাবে মোক্ষপদ, হায়!
মর্ত্ত্যে ইন্দ্রালয় করিতে পারিলে
স্বৰ্গপুরী কেবা চায়।
হেন গর্ব্বভাব চলে দর্প করি
প্রাণী সে সকল হেরি,