এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আশাকানন
৪৭

যেন শত বীণা বাজিছে একত্রে
মিলিত করিয়া তান,
শ্রবণে প্রবেশ করিলে তখনি
পুলকিত করে প্রাণ।
শূন্যে দৃষ্টি করি রোমাঞ্চ শরীর,
বিস্ময় ভাবিয়া চাই,
কিবা কোন যন্ত্র, কিবা বাদ্যকর,
কিছু না দেখিতে পাই।
হাসি কহে আশা "বৃথা আকিঞ্চন,
দৃষ্টি না হইবে নেত্রে;
এ মধুর ধ্বনি নিত্য এইরূপে
নিনাদিত এই ক্ষেত্রে;
বীণা কি বাঁশরি কিম্বা কোন যন্ত্র
নিঃসৃত নহেক স্বর,
স্বতঃ বিনির্গত সুললিত সদা,
ভ্রমে নিত্য গিরি'পর,
সদা মনোহর বায়ুতে বায়ুতে
বেড়ায় ঝঙ্কার করি,
কমলের দল বেষ্টিয়া যেমন
ভ্রমর ভ্রমে গুঞ্জরি।”
শুনিতে শুনিতে আশার বচন
ক্রমশ অচলে উঠি,
যত ঊৰ্দ্ধে যাই তত সুমধুর
ধ্বনি ভ্রমে সেথা ছুটি।
ছাড়ি অধোদেশ উঠিনু যখন
মধ্যভাগে গিরিকায়;
শরীর পরশি ধীরে ধীরে ধীরে
বহিল মৃদুল বায়!
সে বায়ুতে মিশি সুমধুর ভ্রাণ
করিল আমোদময়;