এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
হেমচন্দ্র-গ্রন্থাবলী

ব্রাহ্মণ-কুলের তিলক-স্বরূপ
সাধন করে উন্নতি;
কত এইরূপ জিজ্ঞাসে বারতা
স্বধাইয়া বারম্বার;
কি দিব উত্তর ভাবিয়া না পাই
চক্ষে বহে নীরধার।
হেরে অশ্রুধারা করুণ বাক্যেতে
ঋষি অতি ব্যগ্রমন
আগ্রহে আবার অতি সযতনে
কৈলা মোরে সম্ভাষণ।
কহিনু তখন কি বলিব ঋষি
কি দিব সস্বাদ তার—
তোমার অযোধ্যা তোমার কোশল
সে আর্য্য নাহিক আর;
ডুবেছে এখন কলঙ্ক-সলিলে
নিবিড় তমসা তায়;
সে ধনু-নির্ঘোষ সে বীণা-ঝঙ্কার
আর না কেহ শুনায়,
নিস্তেজ হয়েছে দ্বিজ ক্ষত্রীকুল
বেদ ধর্ম্ম সর্ব্ব গিয়া,
ভাসে পুণ্যভূমি অকুল পাথারে
পরমুখ নিরখিয়া;
সে বচন শুনি আর্য্য-ঋষিমুখ
ধরিল যে কিবা ভাব,
কি যে ভয়ঙ্কর ধ্বনি চতুর্দ্দিকে
আর্য্য-মুখে ঘন স্রাব,
ভাবিতে সে কথা এখন(ও) হৃদয়
ভয়েতে কম্পিত হয়,
অন্তরে অঙ্কিত রবে চিরদিন
বাণীতে প্রকাশ্য নয়।