এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৪
হেমচন্দ্র-গ্রন্থাবলী

করে অভিষেক, বলে উচ্চ নাদে
জাগ্রত আর্য্য-মণ্ডল;
পশ্চিমে উত্তরে হয় ঘোর ধ্বনি
আনন্দ-সঙ্গীত গায়;
উঠে সিন্ধুবারি ভারত প্রক্ষালি
আবার গর্জ্জিয়া ধায়;
উঠে হিমালয় পুনঃ শূন্য ভেদি
পূর্ব্বের বিক্রম ধরি;
ছুটে পুনরায় জাহ্নবী যমুনা
গভীর সলিলে ভরি;
আনন্দে আবার ভারত-সন্তান
বীণা ধরে করতলে;
আবার আনন্দে বাজায়ে দুন্দুভি
বসুন্ধরা-মাঝে চলে;
দেখে সে দর্পণে অপূর্ব্ব প্রতিমা
হরষ-বাষ্পেতে আঁখি
পুরিল অমনি ফুটিল বাসনা
হৃদয়ে তুলিয়া রাখি;
দেখিতে দেখিতে সে দর্পণ-ছায়া
আরোও ঊর্দ্ধভাগে যাই;
স্তরে স্তরে যেন হেরি সে ভূধর
উঠে শূন্যে যত চাই।
আশা কহে “বৎস, কত দূর যাবে
নাহি পাবে এর পার,
যত দূর যাবে তত দূর ক্রমে
শৃঙ্গ পাবে অন্য আর।”
আশার বচনে ক্ষান্ত হৈয়ে ফিরি
পুনঃ সে অচল-অঙ্গে;
নামি কিছু দূর নিরখি সেখানে
সুকবিকঙ্কণে রঙ্গে।