এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আশাকানন
৫৫

পদতলে তার দেখি মনোসুখে
বসিয়া ভারত দ্বিজ।
বাজাইছে বাঁশী মধুর সুরবে
ছড়াইয়া রস নিজ;
ক্রমে ভূমিতলে অবতরি পুনঃ
তবু যেন প্রাণ মন
করে আকিঞ্চন গিরিতলে থাকে
সুখে আরো কিছু ক্ষণ।
যথা নীড় হৈতে করিয়া হরণ
অরণ্যে পক্ষিশাবক
দ্রুত বেগে গতি করে গৃহমুখে
দুরন্ত কোন বালক,
তখন যেমন সেই পক্ষিশিশু
চায় দুঃখে নীড়পানে,
কাকলি করিয়া মৃদু আর্ত্ত স্বরে
আকুলিত হয় প্রাণে;
সেই ভাবে এবে ফিরিয়া ফিরিয়া
অচল-শিখরে চাই;
মুকুট উজলি জ্বলে হেম-দীপ
হেরিতে হেরিতে যাই!


পঞ্চম কল্পনা

স্নেহ, ভক্তি, বাৎসল্য, প্রণয় প্রভৃতির নিবাসে প্রবেশ করিবার পূর্ব্বে এই অঞ্চল অতিক্রম করিয়া যাইতে হয়—কর্ম্মক্ষেত্র এবং স্নেহাদি অঞ্চলের মধ্যবর্ত্তিনী নদী—তদুপরিস্থিত পরিণয় সেতু—তাহাতে প্র্যণিগণের গতিবিধি।

কর্ম্মক্ষেত্র এবে করি পরিহার,
আশার সহিত পরে
উপনীত হই আসি এক স্থানে
নিরখি আনন্দভরে—