পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RS ) আশুতোষ-স্মৃতিকথা । ‘আশুবাবু নামটি বেশী জনপ্রিয় হইয়াছিল। এবং তিনিও ‘বাবু” নামে অভিহিত হইয়া আনন্দ বোধ করিতেন.। অবশ্য আভিধানিক ব্যবহার-সম্বন্ধে গবেষণা করিলে জানা যায় যে, ‘বাবু’ শব্দটি ‘বাবা’ শব্দেরই রূপান্তর। পূর্বে ‘বাবু’ শব্দ এদেশে প্রচলিত ছিল। এখনও ছেলেদের লোকে আদর করিয়া “বাপু বলিয়া থাকে। দাক্ষিণাত্যে পিতা বুঝাইতে “বাপু শব্দ এখনও ব্যবহৃত হয়। সুতরাং এই “বাপু” এবং তৎপরবত্তী ‘বাবু’ শব্দ এক কালে গৌরবজনক ছিল। একশত বৎসর পূর্বে এই ‘বাবু’ শব্দ আভিজাত্য বুঝাইত এবং যাহাকে তাহাকে ‘বাবু’ বলা হইত না। ইদানীং বাঙ্গালী-বিদ্বিষ্ট কতকগুলি সাহেব ‘বাবু’ শব্দটি ঘূণাৰ্ছ করিয়া তুলিয়াছে ; বাঙ্গালীরাও সেই কলঙ্ক স্বীকার করিয়া লইয়া ‘বাবু স্থলে আসাম-বাসীদের মত ‘শ্রীযুত কথাটি ব্যবহার করিতেছেন। কিন্তু বিদ্বিষ্ট বিদেশীদের দ্বারা লাঞ্ছিত উপাধিটি ত্যাগ করিয়া তাহারা শত্রুদের আরোপিত অর্থ মানিয়া লইয়া পরাজয় স্বীকার করিতেছেন মাত্র। আশুবাবু এই শব্দের অর্থ পুনরায় গৌরবাত্মক করিয়াছেন। আশুবাবু প্রতীচা শিক্ষার অগ্রণী, সেই শিক্ষার যাহা কিছু উৎকৃষ্ট, তাহা তিনি গ্রহণ করিয়াছিলেন । কিন্তু তিনি চিরকালই যে খাটি বাঙ্গালী, সেই খাটি বাঙ্গালীই রহিয়া গিয়াছিলেন,-আবহাওয়া-ভেদে তাহার রং ७qएक तां८द्भझे दाढ्लांक्षेऊ न । আমি যে কথা আরম্ভ করিয়াছিলাম, তাহার সব কথা বলা হয় নাই। যিনি আদৌ সমাজ-সংস্কারক ছিলেন না, তিনি কন্যার দ্বিতীয় বার বিবাহ দিলেন কেন ? তিনি দৃষ্টান্ত-স্থলীয় হইয়া সমাজ-সম্বন্ধে কোন বিশেষ মত প্রচার করিতে ইচ্ছক হ’ন নাই, তাহা পূর্বে বলিয়াছি। তিনি লক্ষ্মী-স্বরূপিণী কমলা দেবীকে প্রাণাপেক্ষা ভালবাসিতেন ; এবং এই লক্ষ্মীর বৈধব্য-বেশ তিনি সহ্যু করিতে পারেন নাই। তঁহারা নিজের খাদ্যা খাদ্য সম্বন্ধে যেরূপ ইচ্ছা খাইবেন, অথচ সেই অনুপমা, কোমলহৃদয় বালিকা পার্থিব সমস্ত সুখে বঞ্চিত হইয়া নিজ লা একাদশী ও ব্রহ্মচর্য্য পালন করিবেন, এই অবিচারের আঘাত আশুবাবু সহস্থা করিতে পারিলেন না । ইহা বুঝাইতে যাইয়া বিদ্যাসাগরের মত তিনি শাস্ত্র ঘাঁটিয়া শ্লোক উদ্ধার করেন “বাৰু শব্দ গৌরবাত্মক