পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমিতি বিধবা-বিবাহ প্রচলন প্রভৃতি দুই একটি বিষয়ে উদ্যোগী হইলেও উহাতে জাতিভেদ-নিবারণ, পৌত্তলিকতা-উচ্ছেদ প্রভৃতি উগ্রপন্থীদের নির্দিষ্ট কর্ম্মতালিকা ছিল না। হৃদয়ের কারুণানি:সৃত স্বাভাবিক মানব-ধর্ম্মভুক্ত বিষয়গুলিই এই সমিতির প্রতিপাদ্য ছিল । এই পুস্তক অতিরিক্ত ত্রস্ততার সহিত লিখিত হইয়াছে,-স্মৃতি-ভ্রম, প্রফ-সংশোধনের দোষ এবং অনবধানতা-জনিত নানা ভুল। ইহাতে আছে, যদি দ্বিতীয় সংস্করণ করিবার প্রয়োজন হয় তবে পুস্তকখানি যথাসম্ভব নির্দোষ করিতে চেষ্টা পাইল। এবারকারের মত বহু ত্রুটির জন্য পাঠকের নিকট মার্জনা ভিক্ষা করিয়া এই ভূমিকার উপসংহার করিতেছি। একটি কথা এই প্রসঙ্গে লিখিত হওয়া দরকার মনে করি। পরিশিষ্টে কোন কোন স্থানে যাহা উল্লিখিত হইয়াছে, গ্রন্থভাগে তাহা একবার লেখা হইয়াছে, সুতরাং ত্যাহা দ্বিরুক্তির মত শুনাইব্দে ; কিন্তু পরিশিষ্টে প্রসঙ্গগুলি পূর্ণভাবে লিপি-বদ্ধ করার জন্য কোন অংশ বাদ দিতে পারি নাই। বিক্রমপুরের ইতিহাস-প্রণেতা শ্রীযুক্ত যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত কয়েকবার আশুতোষের সংস্পর্শে আসিয়াছিলেন। বহুপূর্বে প্রতিশ্রুতি দিলেও তিনি তাহার সেই স্মৃতি-কথা শেষ মুহুর্তে আমাকে দেওয়াতে আতি ত্রস্ততার সহিত তাহা ছাপা হইয়াছে। তজ্জন্য ভুল, ক্রটি থাকা সম্ভবপর ; আশাকরি গুপ্ত মহাশয় সে জন্য ক্ষমা করিবেন। এই সন্দর্ভটি আশুতোষের মৃত্যুর অব্যবহিত পরে ঢাকার একখানি পত্রিকায় ছাপা হইয়াছিল। বেহালা শ্রীদীনেশচন্দ্র সেন