পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট ਵਿa oਕ আমরা ৯—১৩ পৃষ্ঠায় বিশ্বনাথের রোজনামচার সংক্ষিপ্ত সার সঙ্কলন করিয়া মূল ইসে একটি অংশ উদ্ধত করিয়া দিয়া ছিলাম। মহেন্দ্র বিদ্যানিধি মহাশয়ের লেপ অবলম্বন কািরয়াই আমরা এই সঙ্কলন প্রস্তুত করিয়াছিলাম। এখন আমরা বিশ্বনাথের রোজনামচার মূল পুথিখানি পাইয়াছি। মুলের সঙ্গে বিদ্যানধি-কৃত নকল মিলাইয়া দেখিলাম যে, নকলটি অনেক স্থানে মূলানুযায়ী হয় নাই । সঙ্কলয়িতা বর্ণাশুদ্ধি তো সংশোধন করিয়াছেনষ্ট, তাহ ছাড়া পরিবর্তন ও বর্জনের পরিমাণও কম করেন নাই। বাঙ্গলা ভাষার আদি রূপ সন্ধান করিতে গেলে প্রাচীন কালের বর্ণবিন্যাসের রীতিটি আমাদিগকে লক্ষ্য করিতে হইবে। প্রাচীন পুথিগুলির সহিত সুদীর্ঘ কালের পরিচয়ের সঙ্গে সঙ্গে আমার এই ধারণা বদ্ধমূল হইয়াছে যে, শুধু ভাষা-ক্ষেত্রে নহে, উচ্চারণ ৬ বর্ণ-বিন্যাস প্রভৃতি সমস্ত বিয়য়েই বাঙ্গলা-সাহিত্য প্রাচীন কালে সংস্কৃত অপেক্ষা প্রাক্লতের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠতার বেশী পরিচয় দিয়াছে। প্রাকৃতি-শব্দগুলির সেই বর্ণ-সন্নিবেশ আমরা পরবত্তী সংস্কৃতি-প্রাপান্থের যুগে একেবারে উন্টাইয়া দিয়াছি। আমরা গত তিন শতাব্দীর মধ্যে বহুল পরিমাণে সংস্কৃত-শব্দের আমদানী করিয়া আমাদের ভাষার রূপটি এরূপ পরিবর্তন করিয়া ফেণিয়াছি যে, আপাতদৃষ্টিতে মনে হইবে, বাঙ্গলাটা সংস্কৃতেরই রূপান্তর। কিন্তু *ার প্রাচীন কালের নমুনায় বাঙ্গলার পল্লী-মায়ের সুস্নিগ্ধ গন্ধ ও রূপটি বন-ফুলের ন্যায় স্বামীদের দৃষ্টি মুগ্ধ করে। এখন যাইতে’ লিখিতে যদি কেহ ‘জাইতে? লিখেন, "ছুটিয়া” লিখিতে যায়! যদি ছুটীয়া” লিখেন, এমন কি “আমি” লিখিতে যদি কেহ ‘আমীি’ লিখিয়া বসেন, তবে আমরা বিজ্ঞবং তদ্বিধ মূর্থিতা লইয়া উপহাস করিয়া থাকি। কিন্তু একশত বৎসর পূর্বে *াপলার লেখকবর্গের অনেকেই ঐ রূপ লিখিতেন । এমন কি, যে শব্দগুলিকে আমরা খাস ***ত-শব্দ বলি, তাহার সম্বন্ধেও সেই সকল লেখক ঝুড়ি ঝুড়ি বর্ণাশুদ্ধি করিয়া বসিতেন। SSLS DgeD SKLS uuuS BBD uDukS yBu tBBu iDBDuD KDuBD DBDBB বর্ণাশুদ্ধি' বিশ্বনাথের এই রোজনামচায় সুলভ। কিন্তু উহ! আদৌ বর্ণাশুদ্ধি কি না, তাহা **স্ত। এই “ভাবের নানা শব্দের বর্ণ-বিষ্কাস প্রাকৃতের রীতি-অনুযায়ী বলিয়াই আমার মনে হয়। ‘স” “জ” “ন’ বৌদ্ধ-প্রধান বাঙ্গলা দেশে একরূপেই লিখিত হইত, **ারি অন্যরূপগুলি প্রাকৃত ভাষায় স্বীকৃত হয় নাই। তবে গত তিন শতাব্দীর মধ্যে 朔 We