পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ( 8 আশুতোষ-স্মৃতিকথা ইহাকে অন্ধুরে উপড়াইয়া ফেলে—এই ভয়ে শনৈ: শনৈ: তিনি ভয়ে ভয়ে ইহার জন্ম দ্বার মুক্ত করিয়া গিয়াছেন। চৌদ-পনের: বৎসর যাবৎ এম, এ,-পরীক্ষায় বাঙ্গলাকে চালাইবার জন্য আমি তঁহাকে অনুরোধ করিয়া আসিতেছিলাম। তিনি তাহার বিরাটু গোফ স্ফীত করিয়া গর্জনপূর্বক বলিতেন—“তোমার বাঙ্গলা আবার একটা ভাষা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উৰ্দ্ধতম শ্রেণীতে তাহাই পড়াইতে হইবে-শোন কথা !” কিন্তু এই বাহা তৰ্জনের সুরের মধ্যে কোথায়ও একটা অনুরাগের তান ছিল, সুতরাং আমি MBDBBD DBBBBBDD BDBBBDBD D KBBLD TBBDB BBD DDD DDD S DDDL S 0S বৎসর পূর্বে একদিন আমার ডাক পড়িল। তিনি হাসিতে হাসিতে বলিলেন—“দীনেশবাবু, এইবার এম, এ,-তে বাঙ্গালাভাষা চালাইব, সিলেবাস তৈরি করুন, এণ্ডারসনকে চিঠি লিখুন, তাহার এ সম্বন্ধে কোন মতামত আছে কি-না ?” আমি বিস্ময়ের সহিত বলিলাম।–“হঠাৎ মত-পরিবর্তনের কারণ কি ?” তিনি হাসিতে হাসিতে উত্তর করিলেন,- “ঢাল নাই, তরোয়াল নাই, যুদ্ধ করতে যাবেন! আপনাকে দিয়া এই ৪৫ বৎসর যাবৎ যে ‘বাঙ্গলা ভাষা ও সাহিত্যে’র ইংরাজী ইতিহাস লিখাইয়াছি, “বঙ্গসাহিত্য-পরিচয়’ ও “বৈষ্ণব সাহিত্যের ইতিহাস’ লিখাইয়াছি, দাশগুপ্তকে দিয়া সপ্তদশ শতাব্দীর বাঙ্গল” প্রভৃতি বই লিখাইয়াছি, তাহার মানে জানেন না। এই বইগুলি না থাকিলে এম, এ, পরীক্ষার্থীদের কি পড়াইব ? আপনারা যতক্ষণ সোর-গোল করিয়াছেন, আমি ততক্ষণ জমি তৈরি করিয়াছি।” তখন বুঝিতে পারিলাম, আমরা জগন্নাথের রথের চাকা মাত্র, কেবল ঘুরিয়া গিয়াছি,-কেন ঘুরিয়াছি, তাহা একমাত্র পরিচালকই জানিতেন। বিজ্ঞান-শালার বিরাট কারখানা ও মন্দিরগুলি যাহা আমাদের অতি-দুঃসময়েও আশু তোষের সংকল্পের বলে,-যাদুকরের কাঠির স্পর্শে রাজপ্রাসাদের ন্যায় গড়িয়া উঠিয়াছে, এই বিরাটু বিজ্ঞান-শালার সে মেরুদণ্ড ভাঙ্গিয়া পড়িল । ঘোর অনাবৃষ্টির দিনে হোতাঋষিদের মস্ত্রোচ্চারণের ফলে অজস্র বর্ষণের ন্যায় তাহারই মানসিক শক্তি ও প্রবল অনুরাগের ফলেই তো বঙ্গীয় বিজ্ঞান-ভারতীর পাদপদ্মে অজস্র অর্ঘ্য दक्षिऊ ठूक्षेग्राश्लिल | 6न তো আশুতোষের উপর অলঙ্ঘা, অনন্ত আস্থার ফলে—নতুবা এত অর্থ কে দিত ? হায়, আজ আমাদের সকল দিকই যে অসাধার! কে আজ ফ্যকালটীসমূহের ডিন হইবেন ? বোর্ডগুলি পরিচালনা কে করিবেন ? উচ্চশিক্ষার কার্য্য-নিৰ্বাহক সমিতির প্রেসিডেণ্ট কে হইবেন ? দিনে বিশটা-পঁচিশটা সভা কে চালনা করিবেন ? কাহার ক্ষুর-ধার বুদ্ধিতে বিরুদ্ধবাদীর প্রতিকূলতার নিরসন হইবে ? আমরা তো চিরকাল ঘুমাইয়া আসিয়াছি, এক ব্যক্তি সচেষ্ট, সজাগ ও অক্লান্তকর্ম্মা ছিলেন-এই ভরসায়। এখন কে আমাদিগের ঘুম ভাঙ্গাইয়া দিবে ? জাগিয়া যে দেখিব কেওড়াতলার মহাশ্মশান !