পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R {t \s अfउडॉस-डिकथा অত্যাচারী-কৃত লাঞ্ছনা। প্রভৃতি শত দুঃখ যে র্তাহার হৃদয়ে কঁাটার মত ििक्षत् , शैश তাহার বাহ কঠোরতা সত্ত্বেও তাহার হৃদয়ঙ্গম করিত। আমি দেখিয়াছি, 5:श् বালি দুঃখ-কাহিনী শুনিয়া তিনি সময়ে লজ্জিত হইতেন, যেন তাহদের দুঃখ বিমোচনের ভার ভগবান তাহার উপরই দিয়াছেন, তাই সামর্থ্যের অভাবে সময়ে সময়ে তিনি লজ্জা বোধ করিতেন । তথাপি কত শত দীন-দরিদ্র যে তাহার দ্বারা উপকৃত হইয়াছে, তাহা কি গণিয়া শেষ করা যায় ? রাজা তাহার কোষাগার মুক্ত করিলেও অল্প সময়ে তাহ নিঃশেষ হইয়া যায়। কিন্তু আশুতোষের প্রাণের কোষাগার শূন্য করিবে কে ? তাহাতে যে, দয়ার অফুরন্ত প্রস্রবণ সঞ্চিত ছিল । এইজন্য ৭৭নং রসারোডে নিত্য ভিড় হইত। তিনি অতি বড় হইয়াও অতি ছোটদের লইয়। এই ভাবে নিত্য মহোৎসব করিয়া গিয়াছেন, এই কাঙ্গিালীদের জন্য তিনি বিশ্রামের দিনে বিশ্রাম করিতে পারিতেন না । তাহার জীবন ছিল নিরবচ্ছিন্ন কর্ম্মশীল, দ্বাদশ ঘণ্টা তাহার দ্বার ছিল মুক্ত,-সেই দ্বারে রাজার যেরূপ প্রবেশাধিকার ছিল, ফকিরেরও সেই রূপই ছিল । এই কর্ম্ম-পীড়িত হইয়া কর্ম্ম-ক্লান্তির মধ্যেই তিনি প্রাণ ত্যাগ করিলেন। কখনও দেখিলাম না, একটা মাস স্ত্রী, পুত্র কন্যা-পরিবৃত হইয়া তিনি বিশ্রাম্ভালাপের সুবিধা পাইয়াছেন। তিনি নিজেকে দেশের সকলের নিকট বিলাইয়া দিয়া ছিলেন, পারিবারিক গ্রীতি-সুখ ভোগ করিবার অবসর আমরা তঁহাকে cलई नाशे । হায় ! আজি দ্বারভাঙ্গা-গৃহে আসিয়া আকাশে-বাতাসে কি এক ভীতিকর হাহাকার শুনিতেছি! কে যেন ধীর, গম্ভীর পাদ-ক্ষেপে সিড়ি ভাঙ্গিয়া উঠিতেন, তিনি আর উঠবেন। না। তঁহার আগমনে সমস্ত কক্ষগুলি কর্ম্ম-চঞ্চল হইয়া উঠিত । আজ বড়ই এক নিষ্ঠুর নিৰ্জনতা বোধ করিতেছি, ইলেকট্রিক পাখার বায়ু পর্যন্ত যেন স্তম্ভিত হইয়া গিয়াছে ! যাহার বহ্নি-প্রতিম তেজস্বী বক্ততায় সিনেট-গৃহ প্রকম্পিত হইত, সাহেব, বাঙ্গালী শুদ্ধ হইয়া উচ্চ শিক্ষার গৌরব প্রতিষ্ঠার জন্য যাহার সহিত একমত হইয়া যাইত,--যাহার অঙ্গুলির ইঙ্গিতে তালে তালে শ্রোতার বক্ষ স্পন্দিত হইত,—যাহার বিদ্যা-জ্ঞানের গভীরতা, বুদ্ধির ক্ষুর-ধার তীক্ষতা, এবং অপূর্ব ক্ষমতায় প্রতিদিন আমরা মুগ্ধ হইতাম, কাজের নব নব প্রেরণা পাইতাম-র্যাহার নির্ভীকতা হিমাচলের মত আকস্পিতি ও অটল ছিল,-চারি দিকে চিতাগ্নি, প্রেতের নৃত্য, ভূতের দৌরাত্ম্য, ইহার মধ্যেও যে যোগী নিশ্চলভাবে বসিয়া শব-সাধনা করিতেন,-আজি তঁহার আসনখানি পড়িয়া আছে, কিন্তু সে ত্রিপুর-বিজয়ী ত্রিশূল আজ কোথায়,-আমাদিগকে দুদিনে কে আর রক্ষা করিবে ? ঐ যে মাধব-বাজারের অৰ্দ্ধ সমাপ্ত হর্ম্ম্য-স্কন্ধ পর্য্যন্ত উঠিয়া কবন্ধের মত দাড়াইয়া আছে-উই৷ যেন সেই মহাশূন্যের দিকে লক্ষ্য করিতেছে। সেই বিরাটু বক্ষ, যাহা যমরাজের দণ্ডের উৎক্ষেপও বুঝি ব্যর্থ করিতে পারিত, যাহা রাজপ্রাসাদের বিজয়ী সিংহদ্বারের মত