পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rto b- আশুতোষ-স্মৃতিকথা দেঞেয়ার শক্তিও আছে।” কোনরূপ, সঙ্কীর্ণতা তাহার উদার হৃদয়-মন্দিরে স্থান পাইত না । বাঙ্গালী কবি গাহিয়াছেন "মায়ের-দেওয়া মােটা কাপড় মাথায় তুলে নেরে ভাই।” এ বাণী অক্ষরে অক্ষরে পালন করিয়া গিয়াছেন আশুতোষ। জীবনে তিনি সভা-সমিতি, রাজ-দরবার সর্বত্রই ধুতি-চাদর পরিয়াই উপস্থিত হইতেন। বিশ্ববিদ্যালয়-কমিশন-উপলক্ষে ভঁাহাকে এই ঢাকা নগরীতে র্যাহারা দেখিয়াছেন, তাহারাই জানেন যে, একদল সাহেব ও সাহেবী-পোষাক-পরা দেশীয় ব্যক্তির মধ্যে ধুতি-চাদর-পরা স্যার আশুতোষের বিরাটু দেহ হিমালয়ের মতই উচ্চ শিরা এবং স্বতন্ত্র ও উন্নত বলিয়া মনে হইত। র্তাহার অধ্যয়নানুরাগ, গ্রন্থ-প্রীতি এ সকল কথার পুনরুক্তি নিম্প্রয়োজন। স্যার আশুতোষের ন্যায় বিরাটু পুরুষ কবে কোন যুগে আবার এই হতভাগ্য দেশে জন্মগ্রহণ করিবেন, তাহা সৰ্বনিয়ন্ত পরমেশ্বরই বলিতে পারেন । সত্যসত্যই— “বিরাট ভুবন মাঝে আজি জলে তব বিরাট সুকৃতি । অস্তরের অণুতে অণুতে জাগে তব অতুলন প্রীতি ! |' छिल द्रुळJ°कब्र उख् তাহাতেই ছিলে তুমি ধ্রুব ; গৌরব-আসনে তব চির প্রতিষ্ঠিতি । স্বদেশ তোমাতে ধন্য, ধন্য তব স্মৃতি ।” ভারতের সমগ্র জাতির সাধনাকে এক ভাবে গ্রথিত করিয়া তুলিবার ন্যায় মহৎ কামনা। তাহার ছিল বলিয়াই তিনি সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত পার্থক্য বিস্মৃত হই”: পারিয়াছিলেন । যে অনাবিল স্নেহধারা প্রিয় পরিজনের কল্যাণের জন্য গোপন বক্ষে নিয়ত প্রবহমান ছিল, তাহাই জাহ্নবীর বিশাল জলধারার ন্যায় বিস্তৃত হইয়া সমগ্র জগদ্বাস্ত্রীকে আপনার করিয়া লইয়াছিল । তাই আশুতোষ ভারতবাসী সকলেরই প্রিয় জন ছিলেন । তাহার গৃহদ্বার সকলের জন্যই অবারিত ছিল, যথাসাধ্য সকলকেই তিনি সমানভাবে সাহায্য করিতেন ; যাহার জন্য হয়ত কিছুই করিতে পারিতেন না, তাহাকেও হাসি-মুখে বিদায় দিতেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মধ্যে একদিকে যেমন দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব প্রভৃতি সমুদয় বিদ্যারই সমাবেশ করিয়াছিলেন, তেমনি ললিতকলা-সম্বন্ধেও তিনি উদাসীন ছিলেন না। চিত্রবিদ্যার সম্বন্ধেও কতবার বক্তৃতা দেওয়াইয়াছেন। বিলাতের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় সঙ্গীত-বিদ্যাও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা দেওয়ার আকাজক্ষা তাহার ছিল । কিন্তু সে বাসন। তিনি পূর্ণ করিয়া যাইতে পারেন নাই । homossypaqpis