পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२० শিল্পকলায় যে সব গৌরবময় অধ্যায় রচনা করিয়াছিল, আধুনিক শিক্ষিতে এই গ্রন্থে তাহার সন্ধান পাইবেন । ইহার ফলে । র্তাহাদের . Inferiority complex বা আত্মদৈন্য কিয়ৎপরিমাণেও যদি হ্রাস হয়, তাহা হইলেই আমরা সুখী হইব, দীনেশবাবুর শ্রমও সার্থক হইবে। : দীনেশবাবু সবিনয়ে বলিয়াছেন যে, তিনি পণ্ডিত নহেন ; সুতরাং র্তাহার গ্রন্থে পাণ্ডিত্যপূর্ণ গবেষণা করিতে তিনি চেষ্টা করেন নাই, তিনি জনসাধারণের জন্যই ইতিহাস লিখিয়াছেন। তঁহার ভাষায়,-“এই * পুস্তক ঐতিহাসিকগণের জন্য লিখিত হয় নাই। বঙ্গের জনসাধারণের মনে স্বদেশপ্রীতি জাগ্রত করাই আমার অন্যতম লক্ষ্য। নীরস ও শুষ্ক গবেষণায় তাহারা আকৃষ্ট হইবে না। এজন্য যদি রস-সঞ্চারের অভিপ্রায়ে ভাষায় মাঝে মাঝে কিছু ং ফলাইতে আমি চেষ্টা করিয়া থাকি, তাহাতে আমি লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়াছি বলিয়া মনে হয় না।” দীনেশবাবুর এই বিনয় সত্ত্বেও আমরা বলিতেছি, র্তাহার গ্রন্থে পাণ্ডিত্য ও গবেষণার অভাব নাই—যে কোন প্রতিভাশালী ঐতিহাসিকের পক্ষে এরূপ গ্রন্থ গৌরবের বস্তু। দেশবাসীর মনে তিনি যে স্বদেশ-প্রেম জাগ্রত করিতে চাহিয়াছেন, তাহার চেয়ে বড় লক্ষ্য ঐতিহাসিকের পক্ষেও আর কিছু হইতে পারে না। দীনেশবাবুর অভীষ্ট সিদ্ধ হউক । কেবল দেশবাসী জনসাধারণ নয়, দেশের শিক্ষিত সমাজ, কৃতবিষ্ঠা ঐতিহাসিকগণ এবং সহৃদয় বিদ্যোৎসাহী, ধনী ব্যক্তিদের মনোযোগ আমরা এই বিরাট গ্রন্থের প্রতি আকৃষ্ট করিতেছি। এই প্রবীণ সাহিত্যিক ভগ্নস্বাস্থ্য লইয়াও অক্লান্ত সাধনায় জাতির যে কীর্ত্তি-মন্দির রচনা করিয়াছেন, সকলের সহায়তা, সহযোগিতা ও छै९माgछ ऊाझा সম্পূর্ণতা ও সার্থকতা লাভ করুক, ইহাই আমাদের একান্ত কামনা। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এরূপ একশ্বী" বহুমূল্য গ্রন্থ প্রকাশ করিয়া বাঙ্গলা দেশ ও বাঙ্গালী জাতির ঐশ্বর্য্য-বুদ্ধি', "" সহায়তা করিয়াছেন, তজ্জন্য র্তাহারা ধন্যবাদাৰ্হি। বাঙ্গলা সাহিত্যে এই ** দীনেশবাবুর “বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসের” মতই অক্ষয় কীর্ত্তিরীপে *ি*** করিবে। * ( আনন্দবাজার পত্রিকা-সম্পাদকীয় স্তম্ভ ৫ই চৈত্র, ১৩৪* }

  • বৃহৎ বঙ্গ—শ্রীদীনেশচন্দ্র সেন, ডি-লিটু, কবিশেখর-প্রণীত, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। శ &? గోరే !