পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سوارع ] তাহার কোন স্থান বা প্রতিষ্ঠা ছিল না বলিয়া অনেকের ভুল ধারণা। মহাপ্রভুর যুগ বাঙ্গলার পূর্ণ অভু্যদয়ের যুগ সন্দেহ নাই। তাহার বন্ত শতাব্দীর পূর্ব হইতে গুপ্ত, পাল ও সেন যুগে বাঙ্গালী রাষ্ট্রে, সমাজে, সাহিত্যে, দর্শনে, শিল্পকলায়, যে সব গৌরবময় অধ্যায় রচনা করিয়াছেন তাহারই সন্ধান দীনেশবাবু তাহার বিস্তৃত্ব গ্রন্থে প্রদান করিয়াছেন। ; “বৃহৎ বঙ্গ” পুস্তকখানি অতি বৃহৎ, ইহা কলিকাতা পিণ্ডুপিদু। গান কর্তৃক মুদ্রিত ও প্রকাশিত। সর্ব্বসমেত প্রায় চৌদশত পৃষ্ঠায় দুই খণ্ডে তাকটেভে সাইজে মুদ্রিত হইয়াছে। মূল পুস্তকখানি ১২১৫ পৃষ্ঠার। গ্রন্থকর্তা প্রায় এক শত পঁচিশ পৃষ্ঠার ভূমিকাটিতে অতি সারগর্ভ সুচিন্তিত ভাবে বাঙ্গলার সংস্কৃতির ও সাধনায় উৎকর্ষ ও বৈশিষ্ট্যের পরিচয় দিয়াছেন। ইহার শব্দ-সূচীটি ৬৪ পৃষ্ঠা ব্যাপী ; এই পুস্তকে ৩৫২ খান সুপ্রাচীন কলার নিদর্শন—মৌলিক চিত্র সঙ্কলিত আছে, তাহার মধ্যে প্রায় দেড়শতখানি রঞ্জিত চিত্র। দীনেশবাবু এই সব চিত্রের অধিকাংশ তাহাব নিজের সংগৃহীত চিত্র, মূর্ত্তি, কঁথা পুথি আদি হইতে প্রতিলিপি করিয়াছেন, সেগুলির সমস্তই মূল্যবান ও মৌলিক। দীনেশবাবু তাহার মূল্যবান বাঙ্গালীর নিজস্ব সংস্কৃতির নিদর্শন সংগ্রহগুলি ত্রিপুরার রাজ-দরবারের ভাণ্ডারে প্রদান করিয়াছেন। “বৃহৎ বঙ্গে” প্রাগৈতিহাসিক যুগ হইতে আরম্ভ করিয়া পলাশীর যুদ্ধের সময় পর্যন্ত বাঙ্গালা ও বাঙ্গালী জাতির ইতিহাস লিপিবদ্ধ হইয়াছে। র্তাহার সিদ্ধান্তের সম্বন্ধে হয়ত মতদ্বৈধতা থাকিতে পারে, কিন্তু তিনি যে বিপুল পরিশ্রম করিয়া বৃদ্ধ বয়সে এই প্রকার অত্যাবশ্যক পুস্তকখানি লিখিয়৷ বাঙ্গালী জাতির ও যাঙ্গালা ভাষার প্রভূত উপকার করিয়াছেন তাহার সন্দেহ নাই। সমগ্র বাঙ্গালী জাতি তাহাতে গৌরবান্বিত। দীনেশ বাবু কেবল মাত্র রাজা রাজড়ার কাহিনী, অথবা যুদ্ধ-বিগ্রহের সােল, তারিখ দিয়া পৃষ্ঠা পূরণ করেন নাই। সুপ্রাচীন কাল হইতে বাঙ্গালী জাতির কীর্ত্তি-কলাপ, ইহাতে আলোচিত হইয়াছে। বাঙ্গালীর ক্ষত্রিবীর্য্য, ধর্ম্ম, সমাজ, সাহিত্য, দর্শন, শিল্পকলা, ভাস্কর্য্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, রাষ্ট কি ভাবে গড়িয়া উঠিয়াছে, কিরূপ যুগে যুগে তাহার বিকাশ ও পরিবর্তন হইয়াছে,-আর্য-সংস্কৃতি ও বৌদ্ধংস্কৃতি কিভাবে বাঙ্গলায় তাহদের প্রভাব বিস্তার করিয়াছে,-কিভাবেই বা